নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহানার জবাব দিল ভারত। ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল ভারতীয় সেনাবাহিনী।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়। সাড়ে তিনটে নাগাদ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ ফাইটার বিমান। বেছে বেছে হামলা চালানো হয় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।


LIVE TV: ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রতি মুহূর্তের আপেডট দেখুন


এর পর থেকে প্রতিশোধ চাইছিল গোটা দেশ। মোদী সরকারও যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।



অবশেষে ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি-নিধনের কাজ সেরে এলেন বায়ু সেনার অফিসাররা। মোদী সফলভাবে জমানায় সফল হল আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।


বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ১০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় এই সার্জক্যাল স্ট্রাইকে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের খাইবার-পাখতুনওয়া এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।



পাকিস্তানের সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোটে। পাক বায়ুসেনাও প্রতিরোধ করেছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তাদের দাবি।


বায়ুসেনার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি ঘাঁটিগুলি পাকিস্তানের তরফে পুলওয়ামার হামলার পর সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে বেশ খানিকটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালানো হয় ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে।


আরও পড়ুন: পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনার মানবাধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা, কেন্দ্র-কাশ্মীরকে নোটিস


জানা গিয়েছে, বালাকোট খাইবার-পাখতুনওয়ার একটি শহর। যা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ভিতরে। সেখানেই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান জঙ্গি ক্যাম্প অবস্থিত। ফলে সেখানে গিয়েই এই হামলা পুলওয়ামা হামলার যোগ্য জবাব বলে মনে করা হচ্ছে।


কিছুক্ষণ পরই ভারত সরকারের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। গোটা দেশ তথা বিশ্বকে জানানো হবে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে। এখনও পর্যন্ত হামলায় কতজন জঙ্গি মারা যেতে পারে, তা নিয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। আশা করা হচ্ছে, সাংবাদিক বৈঠকে সেই সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।