মন্দির ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালো রাজধানীতে, গ্রেফতার ভীম সেনা প্রধান আজ়াদ-সহ ৫০ জন
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস ও ট্রেনে রামলীলা ময়দানে এসে পৌঁছন রাজধানীতে। ঝান্দেওয়ালানের অম্বেদকর ভবন থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১০ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই দিল্লির তুঘলকাবাদের রবিদাস মন্দির ভাঙা হয়। বুধবার সেই মন্দির ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল রাম দাস মার্গে। সেখানে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার দলিত। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ভীম আর্মির চন্দ্রশেখর আজ়াদ, দিল্লির সোশ্যাল জাস্টিস মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম-সহ বেশ কিছু সাধু-সন্ত। অভিযোগ, ওই মিছিলে লাঠিচার্জ করে দিল্লি পুলিস। গুরুতর আহত জন কয়েকজন। আজা়দ-সহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস ও ট্রেনে রামলীলা ময়দানে এসে পৌঁছন রাজধানীতে। ঝান্দেওয়ালানের অম্বেদকর ভবন থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চন্দ্রশেখর আজ়াদের অভিযোগ, বাধা দিতে পুলিস প্রথমে লাঠি চার্জ করে। যদিও পুলিস সেই দাবি অস্বীকার করে জানায়, রাস্তায় গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের উদ্দেশে ইট ছোড়া হয়। আহত হয়েছে বেশ কিছু পুলিসকর্মী।
আরও পড়ুন- ইন্দ্রাণী মুখার্জির সঙ্গে তাঁর কোনও দিন দেখা হয়নি, দাবি কার্তি চিদাম্বরমের
উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তুঘলকবাদের রবিদাস মন্দির ভাঙে দিল্লি ডেভালপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ)। বিক্ষোভকারীদের দাবি ওই জায়গা পুনরায় মন্দির তৈরি করা হোক অথবা বিকল্প জায়গায় মন্দির বানাতে হবে। মন্দির ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান আজ়াদরা। পালটা কেজরীবাল কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে সাফাই দেন, মন্দির ভাঙার পিছনে দিল্লি সরকারের হাত নেই। কেন্দ্রীয় আবাস ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “আশু সমাধান বার করতে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।” প্রয়োজনে মন্দিরের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।