নমোর কথা রাখতে গিয়ে `ধর্মসংকটে` যোগী
মোদী বাক্য রক্ষা করতে গিয়ে বেজায় বিপদে যোগী আদিত্যনাথ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষি ঋণ মুকুব। আর এবার সেই ঋণ মুকুব করা নিয়েই চরম অস্বস্তিতে গোরক্ষপুরের মহন্ত। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নমো বলেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই সবুজ সংকেত পাবে কৃষি ঋণ মুকুব। কিন্তু যোগী মন্ত্রীসভা তার প্রথম বৈঠক সেরে ফেললেও এই বিষয়ে রা কাড়েনি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন! তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী তথা দলের এই মুহূর্তের সর্বময় কর্তা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিরোধের পথে হাঁটতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ? কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিচ্ছেন না যোগী, সমস্যা ঠিক কোথায়?
ওয়েব ডেস্ক: মোদী বাক্য রক্ষা করতে গিয়ে বেজায় বিপদে যোগী আদিত্যনাথ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষি ঋণ মুকুব। আর এবার সেই ঋণ মুকুব করা নিয়েই চরম অস্বস্তিতে গোরক্ষপুরের মহন্ত। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নমো বলেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই সবুজ সংকেত পাবে কৃষি ঋণ মুকুব। কিন্তু যোগী মন্ত্রীসভা তার প্রথম বৈঠক সেরে ফেললেও এই বিষয়ে রা কাড়েনি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন! তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী তথা দলের এই মুহূর্তের সর্বময় কর্তা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিরোধের পথে হাঁটতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ? কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিচ্ছেন না যোগী, সমস্যা ঠিক কোথায়?
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সহ একাধিক রাষ্ট্রায়্ত্ত ব্যাঙ্কই এই ঋণ মুকুবের বিরুদ্ধে। তাঁদের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশের সব জেলা মিলিয়ে মোট কৃষি ঋণের পরিমান ৮৬ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকাই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের দ্বারা গৃহীত ঋণ। ব্যাঙ্ক গুলির মত, সরকার ঋণ মুকুব করতে চাইলে তারা তা মেনে নিতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের পাওনা মিটিয়ে দেবে সরকার। কিন্তু অর্থনীতির দিক থেকে এটি কোনওভাবেই সদর্থক পদক্ষেপ হবে না। উত্তরপ্রদেশের মতো এতো বৃহত্ একটি রাজ্যে কৃষি ঋণ মুকুবের ক্ষেত্রে মুখ খুলেছেন এসবিআই-এর চেয়ার পার্সন অরুন্ধুতী ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেছেন, "আমরা টাকা পেয়ে যাব ঠিকই, কারণ সরকার আমাদের টাকা দিয়ে দেবে। তবে এবার থেকে কৃষি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করব। কৃষকদের ঋণ দেওয়া জরুরি, তাঁদের পাশে থাকাও জরুরি। কিন্তু কখনই ব্যাঙ্কের ঋণনীতি ভঙ্গ করে নয়।"
এদিকে কোনও একটি বিশেষ রাজ্যে কৃষি ঋণ মুকুব করলে অন্যান্য রাজ্যেও তা করার জন্য দাবি উঠবে। ফলে বিপদ বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু অন্য রাজ্যে বিয়টি নিয়ে ততটা জল ঘোলা না হলেও উত্তরপ্রদেশে কৃষি ঋণ নিয়ে 'ধর্মসংকটে' 'যোগীজি'। এখন দেখার, কোন পথে হাঁটেন তিনি প্রতিশ্রুতি অনুসরণের 'বিপজ্জনক সরণী (অর্থনৈনীতির চোখে)' দিয়ে নাকি প্রকৃত 'সবকা সাথ সবকা বিকাশে'র পথে! (আরও পড়ুন- যোগী আদিত্যনাথকে আইসিসের হুমকি চিঠি)