Agnipath Sceme: `অগ্নিপথ` বিক্ষোভে প্রথম প্রাণহানি, পুলিসের গুলিতে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে মৃত্যু যুবকের
উত্তেজিত জনতাকে ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিস। অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'অগ্নিপথ' বিক্ষোভে ঝরল রক্ত (Agnipath Scheme)। প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটল সেকেন্দ্রাবাদে। রেলস্টেশনে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিস (Police Firing)। তখনই পুলিসের গুলিতে এক যুবকের মৃত্য়ু হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। ওদিকে, মথুরায় সাধারণ মানুষের উপর পাথরবাজির অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। তবে সেখানে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।
শুক্রবার সকাল থেকে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের তান্ডব। চার, পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের ইঞ্জিনে, কোচে। ভাঙচুর করা হয় স্টেশনে। ব্যাপক পরিমাণে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। দুপুরেও আগুন লাগানো হয় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পুলিস সূত্রে খবর, স্টেশনে ঢুকে পড়ে ট্রেনে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, সেইসময়ই উত্তেজিত জনতাকে ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিস। অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয় তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা এক যুবকের।
সেকেন্দ্রাবাদের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার একে গুপ্ত জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তাই আন্দোলনের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ বিতর্কে রেলের উপর আঁচ পড়েছে সবেচেয়ে বেশি। একাধিক রাজ্যে একাধিক জায়গায় ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের যুব সম্প্রদায়কে অকারণে হিংসায় না জড়ানোর আবেদন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন, Agnipath Scheme: 'অগ্নিপথে'র আঁচ বাংলাতেও, ৪ জায়গায় বিক্ষোভ, রাজ্য পুলিস নিল কড়া পদক্ষেপ