হাসপাতালের বেডে ছটফট করছে মা; প্রাণপণে হার্ট ম্যাসাজ করছে ছেলে, এগিয়ে এল না কেউই
একটি ভিডিয়োতে মোহিত জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর কেউ মাকে ছোঁয়নি। এক ডাক্তার বললেন, ওখানে সিলিন্ডার, নেবুলাইজার রয়েছে লাগিয়ে দিন। কিন্তু কীভাবে তা লাগাব তা বুঝতে পারছিলাম না
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছটফট করছেন এক বৃদ্ধা আর তাঁর হার্ট ম্যাসাজ করার(সিপিআর)মরিয়া চেষ্টা করে চলেছে তাঁর ছেলে। কিন্তু এগিয়ে এলেন না কোনও ডাক্তার, নার্স বা কোনও স্বাস্থ্যকর্মী। বেডেই মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার। আঁত্কে ওঠার মতো ওই ভিডিয়ো চমকে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশকে।
আরও পড়ুন-পুলিসের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই অবাধ যাতায়াত, ট্যাংরার হটস্পটে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে কারখানা
সোমবার ভোরে মাকে আগ্রার সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন মোহিত শর্মা। তিন বছরে ধরে শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্টে ভুগছিলেন তাঁর মা। কিন্তু হাসপাতালে যখন বলেন মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তখন কেউ এগিয়ে আসেননি। বিনা চিকিত্সাতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মোহিত।
সরোজিনী নাইডু হাসাপাতাল শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। পাশাপাশি কোভিডের চিকিত্সাও হয় এখানে। মোহিতের মা মমতা শর্মা ভুগছিলেন ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে। মোহিত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে বলা হয়, কোভিড টেস্ট না হলে ভর্তি নেওয়া হবে না।
মোহিতের দাবি, মাকে আমি হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা শুনে পাশের রুমে পাঠিয়ে দেন। সেখানে এক চিকিত্সককে বলি, মায়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা তিন বছর ধরে। ডাক্তার আমাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে বলেন। সেটি পূরণ করে আমি মাকে নিয়ে যাই ফাস্ট ফ্লোরে। দেখি, সেটা আইসোলেশন ওয়ার্ড। শ্বাসকষ্টের কথা শুনেই আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন কোভিড ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন-দেশের ৫০ সংস্থার ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব আরবিআইয়ের! তালিকায় চোকসি-মালিয়া
একটি ভিডিয়োতে মোহিত জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর কেউ মাকে ছোঁয়নি। এক ডাক্তার বললেন, ওখানে সিলিন্ডার, নেবুলাইজার রয়েছে লাগিয়ে দিন। কিন্তু কীভাবে তা লাগাব তা বুঝতে পারছিলাম না। এক ওয়ার্ড বয়-এর কাছে গেলাম। ও বলে দিল কীভাবে লাগাতে হবে কিন্তু কাছে এল না। এরকম এক অবস্থায় মায়ের বহুক্ষণ মায়ের হার্ট ম্যাসাজ(সিপিআর) করার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই অবস্থাতেই মারা গেল মা। ওর শেষ কথা ছিল, আমাকে ঘরে রাখলেই ভালো করতিস।