ওয়েব ডেস্ক: দ্রাবিড়ভূমের সিংহাসন কার দখলে যাবে? একদিকে ভারী ভারী কিছু নাম যোগ হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী পনীর শিবির। অন্যদিকে, শশীকলার টিমের ধৈর্যচ্যুতি। দুইয়ের মাঝে এখনও সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও। কার পাল্লা কত ভারী? তামিল তখত দখলে এটাই প্রমাণে মরিয়া শশীকলা আর পনীর সেলভম। দুইয়ের স্নায়ুযুদ্ধে র মাঝে চলছে দলবদলের খেলা। বহু চেষ্টা করেও পনীর সেলভমের দল ভারী হওয়া রুখতে পারছেন না শশীকলা। জনসমর্থন তো বাড়ছিলই। এবার রাজনৈতিক সমর্থনও পাল্লা ভারী করছে পনীরের। রবিবার পনীর শিবিরে যোগ দিয়েছেন AIADMK-র এক মন্ত্রী, দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বেশ কয়েকজন সাংসদ। পনীরের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করে এগিয়ে এসেছেন তামিল ডিরেক্টর প্রোডিউসার মানোবালা। বসে নেই শশীকলাও। এখনও পর্যন্ত দলের বেশিরভাগ বিধায়ক শশীকলার পাশেই আছেন। দলবদলের খেলায় পরিস্থিতি যাতে বদলে  না যায়, তার জন্য রবিবার কুভাথুরের গোল্ডেন বে রিসর্টে যান চিন্নাম্মা। নজরবন্দি থাকা ১২০জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নিজের পাল্লা ঠিক রাখতে আম্মার আবেগ উসকে দিয়েছেন চিন্নাম্মা। দ্বিতীয়বার বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সংগঠিত ক্ষেত্রে ইপিএফ ফাঁকি দেওয়ার হার কমাতে তত্‍পর শ্রম মন্ত্রক


কোনও মহিলার পক্ষে রাজনীতিতে থাকা খুব কঠিন। জয়ললিতার সময় থেকেই এটা দেখে আসছি। দ্রাবিড়ভূমের জমজমাট লড়াইয়ে আম্মার মৃত্যুর পিছনে চিন্নাম্মার ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার সেই ধারণা ভেঙে দিতে সামনে এসেছেন এক নার্স। ২০০১ সালে জয়ললিতার সেবার দায়িত্বে ছিলেন R  পিরামিলা ভিসগন। জয়ললিতা ও শশীকলাকে এক আত্মা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একদিকে আবেগের সুড়সুড়ি। অন্যদিকে আঁটঘাঁট বেঁধে কুর্সি দখলের প্রস্তুতি। শশীকলার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আগেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতে সোমবারের কার্যতালিকায় এখনও পর্যন্ত নেই শশীকলা মামলা। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়াতে রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিয়েচেন শশী। তাতে তিনি লিখেছেন, পনীর সেলভম মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর ৭ দিন কেটে গিয়েছে। এখনই তাঁকে শপথ নিতে দেওয়া উচিত। তাঁরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। সোমবার থেকে দ্রাবিড়ভূমে নতুন ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন শশীকলা। দুই শিবিরের যুদ্ধ যে চলবে, তা স্পষ্ট। রবিবার নিজের বাসভবনে বিপুল সংখ্যক সমর্থক অনুগামীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পনীর সেলভম। পনীরের নামে জোরদার স্লোগান দেওয়া হয়। আর চিন্নাম্মা! গোল্ডেন বে রিসর্টে যাওয়ার আগে তাঁর আরতি করেন সমর্থকরা।


আরও পড়ুন  জোর ধাক্কা শশী শিবিরে, জোর বাড়ছে পন্নিরসেলভমের