ওয়েব ডেস্ক: বিরোধ শেষ, এবার ঐক্যের পথে আম্মার দল। জয়ললিতার মৃত্যুর পর ক্ষমতা দখল নিয়ে তীব্র বিরোধের আবহে ফাটল ধরে এআইডিএমকে-তে। দল ভাগ হয়ে যায় দুই শিবিরে। দীর্ঘ বিরোধ কাটিয়ে সেই ওপিএস-ইপিএস শিবিরই এবার এক হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী (ইপিএস) এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলভমের (ওপিএস) শিবির ইতিমধ্যেই সংযুক্তির পক্ষে সহমত হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহেই এবিষয়ে হতে পারে চূড়ান্ত ঘোষণা। আম্মার মৃত্যুর সাত দিনের মধ্যে যে শশীকলাকে নিয়ে দলে ভাঙনের শুরু তাঁকেই হয়ত বহিষ্কৃত করা হতে পারে এই সংযুক্তি প্রক্রিয়াকে সুনিশ্চিত ও মসৃণ করার জন্য, এমনটাই খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর অনুসারে, ইতিমধ্যেই দলের সদর দফতরে পালানিস্বামীর উপস্থিতিতে হওয়া বৈঠকে স্থির হয়েছে যে, দলের শীর্ষ পদে শশীকলাকে নিয়োগ করা হয়েছিল সাময়িকভাবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত দলের নতুন প্রধান নির্বাচিত হন এবং তাঁর সহকারী সাধারণ সম্পাদকের পদে তাঁরই ভাইপো টিটিভি দিনাকরণের পদও দলের আইন বিরুদ্ধ। কারণ, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে দিনাকরণকে দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং জয়ললিতাই। ফলে, এই বছরের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদকের পদ প্রাপ্তি সম্পূর্ণ রূপেই দলীয় আইন বিরোধী। আর এসবের থেকে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, জেলে থাকা নেত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি তথা ভইপোকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে ক্ষমতাসীন ইপিএস। এদিকে, বিক্ষুব্ধ পন্নিরসেলভম শিবির থেকেও এই সংযুক্তির অন্যতম শর্ত হিসাবে ভিকে শশীকলাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং জয়ললিতার মৃত্যু তদন্তকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে চাপ দেওয়া হয়েছে।


অন্য দিকে, এআইডিএমকের এই সংযুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইপিএস এবং ওপিএস দুজনেই আজ দিল্লিতে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি পদে বেঙ্কাইয়া নাইডুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে। উল্লেখ্য, বিজেপির দক্ষিণের নেতা বেঙ্কাইয়া নাইডুর উপরেই তামিল রাজনীতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। এমনটাও জানা যাচ্ছে যে, সংযুক্ত এআইডিএমকে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী হবে এবং এর মাধ্যমেই রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি মজবুত করতে চাইছে পদ্ম শিবির। আর এআইডিএমকের নেতৃত্বও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।


প্রসঙ্গত, জয়ললিতার মৃত্যুর সাত দিনের মধ্যে তাঁর বান্ধবী ভিকে শশীকলা দলের শীর্ষ পদে বসেন এবং তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। দলের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও শশীকলা কেড়ে নিতে চান পন্নিরসেলভমের কাছ থেকে, আর এই নিয়েই তামিলনাড়ুর শাসক দলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। যার পরিণতি হয় ভাঙনে। কিন্তু আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় জেলে যেতে হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীত্বের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় শশীকলার। ফলে শশীকলাকেই এআইডিএমকের ভাঙনের পিছনে একমাত্র কারণ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।