ওয়েব ডেস্ক: ভুয়ো ফোনে দফায় দফায় বোমাতঙ্ক দিল্লি বিমানবন্দরে।  বোমাতঙ্ক বেঙ্গালুরুতেও। যদিও তল্লাসির পর মেলেনি কিছুই। সন্ধেয় উড়ন্ত বেলুন ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দিল্লিতে। এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজস্থানের আকাশে যে হিলিয়াম-ভর্তি বেলুন ভাসতে দেখে (স্থানীয়রা ভেবেছিলেন এলিয়েন স্পেশশিপ) সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে গুলি করে ফেলে দেওয়া হয়, সেটি পাকিস্তান থেকে ছাড়া হয়েছিল বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল।
 
আকাশে আতঙ্ক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়িতে তখন বেলা একটা। কাঠমাণ্ডু উড়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে প্রস্তুত এয়ার ইন্ডিয়ার  ফ্লাইট AI ২১৫। আরেকটি বে-তে পাঁচ মিনিট পরই উড়ে যাওয়ার কথা জেট এয়ারওয়েজের 9W260। আচমকাই বেজে উঠল বিমানবন্দরে ফোন।


তুরস্ক থেকে আসা ফোনে বলা হয়,এক যাত্রীর ল্যাপটপে বিস্ফোরক রাখা আছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়  উড়ানের সময়। তড়িঘড়ি দুটি বিমানকেই পরিত্যক্ত বে-তে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। শুরু হয় চিরুণি তল্লাসি। ঘণ্টাখানেকের তল্লাসির পরও কিছু না মেলায় সবুজ সংকেত দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফের ছন্দপতন। সন্ধে ছটা নাগাদ ফের AI 215 -য় বোমা রাখার আছে বলে ফোন আসে। কিছুক্ষণের তল্লাসির পরও এবার খোঁজ মেলেনি কোনও বোমার।


আতঙ্কের এখানেই শেষ নয়। সন্ধেয় দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে আকাশে উড়ন্ত বেলুন ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। তড়িঘড়ি সতর্ক করা হয় বায়ুসেনা ও দিল্লি পুলিসকে। তল্লাসির পর জানা যায়, বেলুনটি আবহাওয়া দফতরের। মঙ্গলবার রাজস্থানের বাড়মেড়েও একইরকম বেলুনের হদিশ মেলে।  


দিল্লির পর উড়ো ফোনে বোমাতঙ্ক ছড়ায় বেঙ্গালুরুতে। এয়ার এশিয়ার গোয়াগামী ফ্লাইটে বোমা রাখা আছে বলে ফোন আসে। যদিও তল্লাসির পর কিছু মেলেনি। এনিয়ে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় দেশের চারটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল। তার জেরে দেশের সব বিমানবন্দরে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।