Pee-Gate: সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবকান্ডে এয়ার ইন্ডিয়ার জরিমানা ৩০ লাখ, ৩ মাস সাসপেন্ড পাইলট
গত বছরের ২৬ নভেম্বর প্রস্রাবের ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া অভিযুক্ত যাত্রী শঙ্কর মিশ্রের উপর চার মাসের ফ্লাইং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শঙ্কর মিশ্র তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে মহিলা ‘নিজেই সিটে প্রস্রাব করেছিলেন’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তার নিউইয়র্ক থেকে দিল্লি আসা ফ্লাইটের পাইলট-ইন-চার্জের লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল করেছে ডিজিসিএ। এই বিমানেই একজন মহিলার উপর অপর এক যাত্রী মত্ত অবস্থায় প্রস্রাব করে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) ‘তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য’ এয়ার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর-ইন-ফ্লাইট সারভিসেসকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর প্রস্রাবের ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া অভিযুক্ত যাত্রী শঙ্কর মিশ্রের উপর চার মাসের ফ্লাইং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞাটি আগে তার উপর আরোপ করা ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞার উপরে অতিরিক্ত চার মাস বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি চার জানুয়ারী ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) এর নজরে আসে এবং সর্বশেষ পদক্ষেপগুলি করা হয়েছে বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য।
এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজারকে, এয়ার ইন্ডিয়ার ইন-ফ্লাইট পরিষেবার ডিরেক্টর এবং সেই ফ্লাইটের সমস্ত পাইলট এবং কেবিন ক্রু সদস্যদের কেন তাদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন নেওয়া উচিত নয় তার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিল ডিজিসিএ। তাদের জবাব দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইন শুক্রবার সকালে তার জবাব জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Swiggy Layoff: ভারতের বাজারে শুরু মন্দার ধাক্কা, কর্মী ছাঁটাই সুইগির
শঙ্কর মিশ্র তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে মহিলা ‘নিজেই সিটে প্রস্রাব করেছিলেন’। এই অভিযোগগুলি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানানো এবং অবমাননাকর’ বলে খারিজ করেছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: Rajasthan: প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে খুন, চলন্ত ট্রেন থেকে দেহ ছুঁড়ে ফেলল মা! গ্রেফতার দুজনেই
এই মাসের শুরুর দিকে, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া ‘আরও দ্রুত’ হওয়া উচিত ছিল। তার বিবৃতিটি আসে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসনের ক্ষমা চাওয়ার পরে যিনি জানিয়েছিলেন যে এয়ারলাইনটি তার ‘ফ্লাইটে অ্যালকোহল পরিষেবার নীতি’ পর্যালোচনা করছে।
ফ্লাইটটি ভারতে পৌঁছালে শঙ্কর মিশ্র পালিয়ে যান। ২৭ নভেম্বর ওই মহিলা এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ভয়ংকর এই ঘটনার কথা লিখেছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া চার জানুয়ারী একটি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে তারা পুলিসের কাছে যায়নি কারণ তাঁরা মনে করেছিল যে উভয় পক্ষই ‘বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছে’। ঘটনার ছয় সপ্তাহ পরে দিল্লি পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।