নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের হাত থেকে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানাকে বাঁচাতে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নেন এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপেদেষ্টা অজিত ডোভাল। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সিবিআই  আধিকারিক মণীশ সিনহা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিবিআইয়ের কোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। এবার বদলির নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিক মণীশ সিনহা। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষের তদন্ত করছিলেন মণীশ কুমার সিনহা। তদন্ত চলাকালীন ২৪শে অক্টোবর তাঁকে নাগপুরে বদলি করে দেওয়া হয়। নীরব মোদী-মেহুল চোকসিদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মণীশ। বদলির নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এদিন আর্জি জানান তিনি। আবেদনে অভিযোগ করেন, সিবিআইয়ের নজরে থাকা এক ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নেন। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে নানা প্রমাণ মিলছিল।তদন্ত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে।    


সিনহার দাবি, মইন কুরেশির মামলা. সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার কেভি চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন সানা সতীশ বাবু। এই মামলায় যুক্ত অজিত দোভালের পরিচিত দুই ব্যক্তি। সিনহার অভিযোগ, মামলা ধামাচাপা দিতে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী হরিভাই প্রার্থীভাই চৌধুরীকে ঘুষ দিয়েছিলেন সতীশ বাবু। গুজরাটের সাংসদ হরিভাই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, র অফিসার সামন্ত গোয়েলের একটি কথোপকথনও শুনেছেন সিনহা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সিবিআইয়ের বিষয়টি দেখে নেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। 


অলোক বর্মার মামলার সঙ্গেই তাঁর মামলাও শোনার আর্জি জানান মণীশ। দাবি করেন, তাঁর কাছে যে নথি আছে, তা দেখে আদালত চমকে যাবে। আদালত কিছুতেই চমকায় না বলে মন্তব্য করে জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। 


১২ই নভেম্বর অপসারিত সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিভিসি। রিপোর্ট পড়ে বর্মাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিভিসি তদন্তে কিছু বিষয় অলোক বর্মার পক্ষে, কিছু বিষয় তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। অন্য কয়েকটি বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। জবাব দিতে সোমবার শীর্ষ আদালতের কাছে বাড়তি সময় চান অলোক বর্মা। বিচারপতিরা মাত্র ৩ ঘণ্টা বাড়তি সময় দিলে তার মধ্যেই বর্মা নিজের লিখিত বক্তব্য জমা দেন। আদালত জানায় শুনানি পিছবে না। বর্মার বক্তব্য পড়তে বিচারপতিদের সময় লাগবে, তাই এ দিনই তা জমা দিতে হবে। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। 


রাফালে নিয়ে ইতিমধ্যেই মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে নিজের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি অনিল অম্বানিকে বরাত পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি ইউপিএ জমানার চুক্তির চেয়েও বেশি দামে রাফাল বিমান কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মোদী সরকার। এবার মোদীর ঘনিষ্ঠ সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সরাসরি নিশানা করার সুযোগ পেয়ে গেলেন বিরোধী নেতানেত্রী। লোকসভা ভোটের আগে আরও একটা হাতিয়ার পেয়ে গেল বিরোধী শিবির।     


আরও পড়ুন- বেকারদের কর্মসংস্থানে ই-রিকশা কেনায় টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার