নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমলনাথের নামে শিলমোহর পড়তে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। আর কংগ্রেসের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিল বিজেপির শরিক শিরোমণি অকালি দল। বৃহস্পতিবার অকালি দলের অভিযোগ, ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার দোষীদের বাঁচাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল শিখ বিরোধী দাঙ্গা। দিল্লিতে শিখ নিধনে কমলনাথের হাত ছিল বলে অভিযোগ করেছে শিরোমণি অকালি দল। দলের নেতা মজিন্দর সি্ং সিরসা বলেন,''যখনই গান্ধী পরিবার ক্ষমতায় আসে, শিখ দাঙ্গার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে কমলনাথকে পুরস্কৃত করছেন রাহুল গান্ধী ও গান্ধী পরিবার''। তিনি আরও বলেন,''রাহুল গান্ধী বার্তা দিলেন, ১৯৮৪ সালে যারা শিখদের হত্যা করেছিল, তাদের বরাভয় দিলেন। এমনকি পুরস্কৃতও করবেন''। সিরসা মনে করিয়ে দেন, শিখরা শান্তিপ্রিয়। তবে গান্ধী পরিবারকে মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে। কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তৈরি হবে।


পঞ্জাব ও হরিয়ানায় কমলনাথকে সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের সময় আপত্তি তুলেছিল শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। হরিয়ানায় ওই পদে দায়িত্ব চালিয়ে যান, তবে পঞ্জাব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। 


দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র তেজিন্দর পাল সিং বাগ্গা টুইটারে লিখেছেন,''১৯৮৪ সালের শিখদের হত্যাকারী কমলনাথকে পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তখন বিরোধিতা করেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত''। 


আপ আদমি পার্টির নেতা তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এইচএস ফুলকা দাবি করেন, শিখ বিরোধী দাঙ্গায় কমলনাথের জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এবার রাহুল গান্ধীই সিদ্ধান্ত নেবেন। 


১৯৮৪ সালে দিল্লিতে একটি গুরুদ্বার জ্বালানো ও শিখ দাঙ্গায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কমলনাথের বিরুদ্ধে। বলে রাখি, মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন এই কমলনাথ।


আরও পড়ুন- মমতা থেকে হিলারি, অম্বানি কন্যার বিয়েতে কে নেই? দেখে নিন কে কে হাজির হলেন?