ওয়েব ডেস্ক: ফেসবুকেই আকাঙ্খার সঙ্গে আলাপ উদয়নের। নিয়মিত চ্যাটিং। এরপর সেই ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমের সম্পর্কে। এরপর দেখা সাক্ষাত্‍। দুজনই এক সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিদেশে চাকরির নাম করে বাড়ি ছাড়েন আকাঙ্খা। ভোপালেই উদয়ন দাসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ফেসবুকেই আকাঙ্খার সঙ্গে আলাপ উদয়নের। আলাপ থেকে প্রেম, শুরু লিভ ইন। বাড়িতে আকাঙ্ক্ষা এই সম্পর্কের কথা গোপন করে যায়। বিদেশে চাকরি পেয়েছে বলে বাড়িতে জানায় আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু হঠাত্‍ই মেয়ের ফোন আসা বন্ধ হয়ে যায়। পুলিসে অভিযোগ জানায় আকাঙ্খার পরিবার।  আকাঙ্খার ফেসবুকের সূত্র ধরেই খুনের কিনারা করে পুলিস। ফেসবুক ফ্রেন্ড উদয়নের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন আকাঙ্ক্ষার বাবা। উদয়নকে গ্রেফতার করতেই খুনের কিনারা হয়। কেন খুন হলেন আকাঙ্ক্ষা? কীভাবে তাঁকে খুন করলেন সঙ্গী উদয়ন? পুলিসি জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের দাবি উদয়ন জানিয়েছে, এক সঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে একদিন গণ্ডগোল হয় দুজনের মধ্যে। সেদিনই আকাঙ্খার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে উদয়ন। এরপর সে মেঝেতে পুঁতে ফেলে আকাঙ্খার দেহ। প্রমাণ লোপাট করতে তার ওপর ঢালাই করে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ভোপালে খুন বাঁকুড়ার তরুণী আকাঙ্ক্ষা শর্মা, ৭ মাস পর খুনের কিনার পুলিসের


বিদেশে চাকরি পেয়েছেন। তাই গত ২৩ জুন বাড়ি ছেড়েছিলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা আকাঙ্খা। দিল্লি হয়ে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। এরপর আর বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেনি বছর আঠাশের ওই তরুণী। ফেসবুক চ্যাটেই যোগাযোগ ছিল। ডিসেম্বরে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। তখনই সন্দেহটা দানা বাঁধে পরিবারের। পুলিসে অভিযোগ করেন আকাঙ্খার বাবা শিবেন্দ্র কুমার শর্মা। পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, আমেরিকাতে আসলে যাননি আকাঙ্খা। তাহলে কোথায় গেল মেয়েটি? ফেসবুকের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস জানতে পারে, আকাঙ্খার অ্যাকাউন্ট খোলা হতো ভোপালের শাকেতনগর থেকে। এরপরই রহস্যের কিনারা করে ফেলেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন  পঞ্জাবে শেষ দিনের প্রচারে ঝোড়ো ব্যাটিং রাহুল গান্ধীর