বিরোধী জোটে ফের ফাটল, কংগ্রেসকে ছাড়াই উত্তর প্রদেশে জোটে সওয়ার অখিলেশের
শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা বিরোধী শিবিরই বেশ অগোছালো। বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে চলছেন প্রায় সব দলের নেতারাই। যদিও নিজেদের সম্ভাবনার সঙ্গে এতটুকু আপোস করতে রাজি নন কেউই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে কী হবে বিরোধী রাজনীতির সমীকরণ? টানটান এই নাটকে বৃহস্পতিবার যোগ হল নতুন অঙ্ক। মধ্যপ্রদেশে একমাত্র সমাজবাদী পার্টি বিধায়ককে কংগ্রেস মন্ত্রিসভায় সামিল না করায় লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে রাহুল গান্ধীর হাত ছাড়ার হুমকি দিলেন অখিলেশ যাদব। বললেন, 'কংগ্রেস আমাদের কাজটা সহজ করে দিল।'
২০১৯-এর নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে গোরক্ষপুরে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির জোট সমীকরণে জয়ের পর হাওয়া পেয়েছে জোট সমীকরণ। কিন্তু তাতে কি ঠাঁই হবে কংগ্রেসের। মোদী জুজুতে বুয়া - বাবুয়া কাছাকাছি এলেও কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ তারা। এদিন একবার সেকথাই স্পষ্ট করলেন অখিলেশ।
শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা বিরোধী শিবিরই বেশ অগোছালো। বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে চলছেন প্রায় সব দলের নেতারাই। যদিও নিজেদের সম্ভাবনার সঙ্গে এতটুকু আপোস করতে রাজি নন কেউই। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে গেলে লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে আঞ্চলিক দলগুলিকে। সেরাজ্যে কংগ্রেসের ফল খারাপ হলেও আগে থেকে জোট থাকায় রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে বাধ্য হবেন তারা। কমে যাবে নিজেদের দর কষাকষির দম। তাই কংগ্রেসকে ছাড়াই উত্তর প্রদেশে অখিলেশ ও মায়াবতী ও জোটের পথে হাঁটতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
নতুন বছরে গোটা দেশে কৃষিঋণ মকুব করতে চলেছেন মোদী?
গত ১১ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায়, ২৩০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছে ১১৪টি আসন। ১ আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে রয়েছে তারা। সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসকে সমর্থন জানান মায়াবতী। সেরাজ্যে ২টি আসন পেয়েছে তাঁর দল বসপা। সমর্থন জানান অখিলেশও। মধ্যপ্রদেশে ১টি আসন পেয়েছে সপা। অখিলেশের অভিযোগ, নিঃশর্ত সমর্থন দিলেও মধ্যপ্রদেশের একমাত্র সপা বিধায়ককে মন্ত্রী করার সৌজন্য দেখাননি কমল নাথ।