Aligarh Muslim University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হল সংখ্যালঘু তকমা? কী জানাল সুপ্রিমকোর্ট...
Aligarh Muslim University: সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতের ভিত্তিতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
রাজীব চক্রবর্তী: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে সংখ্যালঘু তকমা? কি হবে না? সেই বিষয় নিয়ে সহমত হতে পারল না প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও সাত সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার সদস্য ইলাহাবাদ হাই কোর্টের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতের ভিত্তিতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছেনা আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, কোনও প্রতিষ্ঠান statute-এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু তকমা পেতে পারে না। এর ভিত্তিতেই ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু তকমা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নয়।
আরও পড়ুন: Jammu & Kashmir Assembly: নবগঠিত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় তুলকালাম! অনুচ্ছেদ ৩৭০ নিয়ে হাতাহাতি...
শুক্রবার ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মধ্যে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির মত, statute এর মাধ্যমে গঠিত বলে কোনও প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা হারায় না। প্রধান বিচারপতি জানান, 'আদালতকে দেখতে হবে কে বা কারা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন? এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের ভাবনার নেপথ্যে কে আছেন? যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিলেন, তাহলে আর্টিকেল-৩০ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।' আর ১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা রেফার করলেন প্রধান বিচারপতি।