নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্যান্য বিচারপতিদের মানহানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্তভূষণ। আগামী ২০ অগাস্ট ওই মামলায় সাজা ঘোষণা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৪ অগাস্ট বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি বিআর গাভাই ও কৃষ্ণ মুরারিকে নিয়ে গঠিত ৩ বিচারপতির সুপ্রিম বেঞ্চ প্রশান্ত ভূষণের এক বিতর্কিত টুইটের কারণে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। এক্ষেত্রে প্রশান্তভূষণের কয়েক মাসের জেলও হতে পারে। এনিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।


আরও পড়ুন-২৭ লক্ষ পার Corona আক্রান্তের সংখ্যা, সুস্থতার হার ৭৩.১৮ শতাংশ  



কংগ্রেস সাংসদ এক টুইটে বলেছেন, বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্তভূষণ যে প্রশ্ন তুলেছেন তাকে আমি সমর্থন করি। আমাদের সবার উচিত বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে তাঁর পাশ দাঁড়ানো। বিচার ব্যবস্থারও একটা সীমানা রয়েছে।


কী টুইট করেছিলেন প্রশান্তভূষণ?


মূলত ২টি টুইট করার কারণে প্রাক্তন আপ নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। গত মাসে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রশান্ত ভূষণ লেখেন,  “ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা যখন গত ৬ বছরের দিকে ফিরে তাকাবেন তখন দেখতে পাবেন যে ঘোষিত জরুরি অবস্থা না হলেও কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা ও ৪ জন বিচারপতির ভূমিকাও সেসময় বিশেষভাবে চিহ্নিত হবে। তাঁর টুইট ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে।


অন্যদিকে, আরও একটি টুইটে তিনি প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে চড়ার ছবি নিয়ে লেখেন । তাঁর বক্তব্য, “এমন একটা সংকটের সময় প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট না পরে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ এই লকডাউনে দেশের নাগরিকরা বিচার পাচ্ছেন না।”


আরও পড়ুন-PM-CARES-এর ফান্ড NDRF-এ ট্রান্সফার করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট


এদিকে, প্রশান্তভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের একাধিক বিশিষ্ট আইজীবী। এনিয়ে মুম্বইয়ের বিশিষ্ট আইনজীবী নওরোজ এইচ শীরভাই সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আদালতের সম্মানরক্ষার নামে  প্রশান্তভূষণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায় মানুষের বাকস্বাধীনতার ওপরে আঘাত।  আদালত অবমাননার যে ব্যাখ্যা তা মাথায় রাখলে এই রায় ত্রূতিপূর্ণ।


এছাড়াও প্রশান্তভূষণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দুষ্মন্ত দুবে, কামিনী জয়সওয়াল, করুণা নন্দী, শ্যাম দিবান, সঞ্জায় হেগড়ে, মেনাক গুরুস্বামীর মতো আইনজীবীরা। এদের এক মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের দায়িত্ব যে কোনও ত্রুটি আদালতের নজরে আনা। প্রশান্তভূষণের মন্তব্য কারও কোনও অবমাননা হয়নি।