নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১৭ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। কিন্তু কোন জ়োনে কতটা ছাড় তা রাজ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক বলে এ দিন সওয়াল করেন অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে ১৫ মের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর রেড জ়োনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরও কড়া হবে। জারি থাকবে রাতের কার্ফুও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিডিয়ো বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, প্রথম লকডাউনে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল, দ্বিতীয় লকডাউনে প্রয়োজন পড়েনি, তেমনিই তৃতীয় এবং চতুর্থ লকডাউনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাত্ প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় স্পষ্ট ১৭ মে পর আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকানো এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা দুটো কাজই সমান্তরাল ভাবে চালাতে হবে। তাঁর কথায়, “আমাদের কাছে এখন দুটো চ্যালেঞ্জ, একধারে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অন্যদিকে জনজীবন আস্তে আস্তে স্বাভাবিকে নিয়ে আসা। সেই দিকেই আমাদের এগোতে হবে।”


আরও পড়ুন- ‘গ্রামাঞ্চলে যেন ভয়ঙ্কর আকার নিতে না পারে করোনা, এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ’


তবে, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রশ্ন তোলেন, করোনা পরিস্থিতি বিচার করে জ়োন নির্ধারণ কেন দিল্লিতে বসে করা হবে। রাজ্যের উপরই সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, পুরো জেলাকে রেড জ়োনের আওতায় না রেখে করোনা প্রভাবিত এলাকাকে কনটেনমেন্টে রাখা উচিত। তবে, এ দিন লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন মহারাষ্ট্র, অসম, পঞ্জাব, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্যাসেঞ্জার, দূরপাল্লা ট্রেন এবং বিমান চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানান তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। করোনা নিয়ে রাজনীতি না করার পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।