নিজস্ব প্রতিবেদন : শান্তিপূর্ণ কথা-বার্তা নয়। ইটের বদলে পাটকেলই একমাত্র পথ। শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই বললেন যোগগুরু রামদেব স্বামীকে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহানার পর গোটা দেশের মতো রাগে-ক্ষোভে ফুটছেন বাবা রামদেব। তারই বিস্ফোরণ ঘটল এদিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় সান্ত্বনার বার্তা দিলেও ভারতের পাশে নেই চিন


"ভারতে ধরে আনা হোক মাসুদ আজহার এবং হাফিজ সৈয়দকে। অথবা ওসামা বিন লাদেনের মতো ঘরে ঢুকে মারা হোক জঙ্গিদের।" পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে শুক্রবার এমনটাই জানালেন রামদেব স্বামী। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনার চরম নিন্দা করেন। তিনি বলেন, "এই হামলা ভারতবর্ষের ঐক্য, সংহতি এবং সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ।" তিনি আরও বলেন, "পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে মূল ভারতবর্ষের মানচিত্রে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় এসে গিয়েছে।" 


আরও পড়ুন-  পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিন্দা পাকিস্তানের, ইমরান সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


এদিন রামদেব বলেন, "দেশের বাইরে হোক বা ভিতরে, সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে হবে। বিশেষ করে হাফিদ সৈয়দ এবং মাসুদ আজহারকে। ওরা যেখানেই থাকুক না কেন, হয় দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হোক, নয়তো ওসামা বিন লাদেনের মতো দেওয়া হোক চরম শাস্তি।" ২০১১ সালের ২ মে আমেরিকার নৌবাহিনীর বিশেষ দল পাকিস্তানের আ্যবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের গোপন ডেরায় অতর্কিতে হানা দেয়। গুলি করে মারা হয় ৯/১১ হামলার মূল চক্রী আল কায়দা প্রধান লাদেনকে। 


বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় মূলচক্রী ছিল জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। অন্যদিকে ২০০৮ এর মুম্বই জঙ্গি হামলার পেছনে ছিলেন লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সৈয়দ। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর জইশ প্রধান মাসুদ আজহার এবং হাফিদ সৈয়দের সমান পরিণতি চাইলেন রামদেব। পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে এদিন যোগগুরু বলেন, "পাকিস্তান একটি অপরিণতমনস্ক, নির্বোধ এবং অশিক্ষিত দেশের মতো আচরণ করছে। পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে এই বিষয়ে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নিন প্রধানমন্ত্রী।"