নিজস্ব প্রতিবেদন : সময়ানুবর্তিতায় ফের ডাহা ফেল ভারতীয় রেল। নানা ফাঁদে ট্রেনের ভাড়া বাড়লেও সময়ে ট্রেন চালাতে যে মন্ত্রক ব্যর্থ তা ফের প্রমাণ করল রেলেরই রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রায় ৩০ শতাংশ দেরিতে চলেছে ভারতীয় রেলের মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা প্রায় ৫.৩০ শতাংশ বেশি। গত তিন বছরে এটাই রেলের সব থেকে খারাপ পারফম্যান্স।
প্রায় প্রতিটি রুটেই ভারতীয় রেলের সময়ানুবর্তিতার বেহাল দশা। রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে ৪,৪২৬টা ক্ষেত্রে মেরামতির কাজ চলার জন্যই দেরিতে চলেছে ট্রেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্ঘটনা ও সমস্যা এড়াতে ২০১৫ সালের পর থেকেই ভারতীয় রেলের প্রায় প্রতিটি জোনেই শুরু হয়েছে মেরামতি ও উন্নতিকরণের কাজ। ২০১৫-১৬ সালে মেরামতির কাজ শুরু হলেও, ২০১৬-১৭ সালে তার প্রভাব পড়ে বেশি। ২,৬৮৭টি জায়গায় প্রায় ১৫ লক্ষ মেরামতি ও উন্নতিকরণের কাজ করা হয়। ফলে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৭৭.৪৪ শতাংশ ট্রেন সময়মত চললেও, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়ায় ৭৬.৬৯ শতাংশে। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সেই মেরামতি ও উন্নতিকরণের কাজ ১৮ লক্ষ ব্লকের ৪,৪২৬টি জায়গায় হয়। ফলে, সময়ে ট্রেন চলাচল ৭৬.৬৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়য় ৭১.৩৯ শতাংশে।


তবে রেলের যুক্তি, দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইন থেকে সিগনালিং, প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নতিকরণের কাজ চলছে। তাই কিছুটা দেরিতে চলেছে ট্রেন। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি বলেন, প্রতিটি জোনে একবার কাজ শেষ হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা হবে না।


আরও পড়ুন- মোদীকে দায়ীত্বজ্ঞানহীন বলে কটাক্ষ রাহুলের


 ৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রেল-দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে দুই অংকে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪-১৫তে ভারতে রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৩৫। ২০১৫-১৬তে তা কমে দাঁড়ায় ১০৭। ২০১৬-১৭য় দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১০৪। সেখানে ২০১৭-১৮ বর্ষে দুর্ঘটনার সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটাই কমে দাঁড়ায় ৭৩-এ।


ট্রেন দেরিতে চলায়, গত কয়েকদিনে যাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। তার উত্তরে লোহানি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই কাজ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সময়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।