ওয়েব ডেস্ক: অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলায় এবার আমির খানকে কটাক্ষ করলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। পিকে ছবির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। পরেশের তোপ, আমির হিন্দুদের বিশ্বাসের অমর্যাদা করা সত্ত্বেও কোনওরকম ক্ষোভের মুখে পড়েননি। বরং ছবিটি বিপুল ব্যবসা করেছে। অসহিষ্ণুতা! পিকে হিন্দুদের বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে। কিন্তু আমির কখনও সংখ্যালঘু হিন্দুদের রোষের শিকার হননি। বরং সুপারহিট ছবিটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। আমির একজন যোদ্ধা । তাই তাঁর দেশ না ছেড়ে দেশের পরিস্থিতি বদলানো উচিত। জিনা ইহাঁ, মরনা ইহাঁ। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক মাতৃভূমির বিপদে দেশ ছেড়ে পালায় না। আমি দেশকে মাতৃভূমি বলে বিশ্বাস করলে কখনও তা ছাড়ার কথা বলব না, যদি অন্য কিছু বিশ্বাস করি তাহলেই বলব।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন আমির খান। প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংয়ের।


ভারতই সবচেয়ে নিরাপদ। মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনাওয়াজ হুসেনের।


শিল্পীদের সম্মান এদেশেই বেশি। বললেন সম্বিত পাত্র।


আমির খানের পাশে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইট করে রাহুলের মন্তব্য, "মোদী ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের দেশদ্রোহী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা উচিত নয়। তার বদলে সমালোচকদের সঙ্গে কথা বলুক কেন্দ্র। বোঝার চেষ্টা করুক কোন পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করছেন তাঁরা। এদেশে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়, গা জোয়ারি করে বা ভয় দেখিয়ে নয়। '


অসহিষ্ণুতা বিতর্কে আমির খানের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল। টুইটে তিনি লিখেছেন আমির খানের বলা প্রতিটি শব্দ ভীষণ সত্য।এভাবে মুখ খোলার জন্য আমির খানকে শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন তিনি।


আমির খানের পাশে এবার বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। গোয়া চলচ্চিত্‍ উত্‍সবের মাঝে তিনি বলেন, অসহিষ্ণু ইস্যুতে আমির খানের বক্তব্য অত্যন্ত মার্জিত।


আমির খান ইস্যুতে এবার টুইটে তোপ তসলিমা নাসরিনেরও। তাঁর মতে বিশ্বের সব জায়গাতেই অসহিষ্ণুতা মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে আমির খানের মত সেলিব্রিটিদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ভারতই।



শাহরুখ বা আমির খানরা যা বলছেন, তা মানুষের কথা। কিন্তু, উন্নাসিক সরকার সেই বক্তব্যে কান দিতে নারাজ। প্রতিক্রিয়া সিপিএম সাংসদ বৃন্দা কারাতের।


অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্য ঘিরে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান। তাঁর দাবি, অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।