`অচ্ছে দিন` আসেনি, তাই কি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনেই জোর মোদী-শাহের?
পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি ইতি ঘটিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'অচ্ছে দিনে'র প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির তখতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, 'অচ্ছে দিন' কি এসেছে? চারবছর পর আর সে পথে হাঁটলেন না মোদী-শাহ। 'অচ্ছে দিনে'র পর এসেছিল 'মেরা দেশ বদল রাহা হ্যায়'। এবার মোদী সরকারের চারবছর পূর্তির দিনে নয়া স্লোগান 'সাফ নিয়ত, সহি বিকাশ'। আর শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার চেয়ে বিরোধীদের নিশানাই বেশি করলেন অমিত শাহ।
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ''কঠোর পরিশ্রমী ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে দিয়েছে বিজেপি। ১৫-১৮ ঘণ্টা প্রতিদিন কাজ করেন নরেন্দ্র মোদী। গত চারবছরে পরিবারতন্ত্র ও জাতপাত থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ। সুশাসন এনেছেন নরেন্দ্র মোদী।'' মোদীর সাফল্য হিসেবে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনে জোর দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়,''দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন দেওয়ায় আমরা গর্বিত। সাধারণ মানুষের জন্য কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।'' অমিতের দাবি, কৃষি বাজেট দ্বিগুণ করা হয়েছে। দুর্নীতি ছাড়াই কোটি কোটি পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেছে বিজেপি। এরপরই রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, ''আর কি চান রাহুল গান্ধী? বিরোধী আসনে থাকলে বিরোধিতা তো করবেনই। আমরা তথ্য দিলাম। যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।''
সকালে প্রধানমন্ত্রীও টুইট করে খোঁচা দেন, 'আমাদের কাছে দেশই প্রথম। নতুন ভারত গঠনে মানবদরদী সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'' সরকারের পাশে থাকার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাফল্যের খতিয়ানও পেশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সরকারের চারবছর পূর্তির সময়েই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। শাক-সবজির বাজারও আগুন। জিএসটি ও নোট বাতিলের পর এমনতিতেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তার আঁচ পেয়েই দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও বিরোধীদের নিশানা করে অস্বস্তি ঢাকতে চাইছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন- ২০১৪ সালের 'গঙ্গাপুত্র' মোদী এবার জগন্নাথের শরণে?