নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে জোটের পথেই হাঁটতে চলেছে কংগ্রেস। তা অতিসম্প্রতি দলের কার্যকরী কমিটির বৈঠকেই স্পষ্ট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এমনকি মহাজোটের স্বার্থে আত্মত্যাগেও রাজি কংগ্রেস সভাপতি। প্রয়োজনে মমতা ও মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। শরিকদের সঙ্গে রাখতে দেশজুড়ে ২৫০-২৭৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে কংগ্রেস। যা লোকসভার মোট আসনের তুলনায় অর্ধেক। কিন্তু কংগ্রেসের উল্টো পথে হাঁটতে চলেছেন মোদী-শাহ। সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোথাও শরিকের 'বি টিম' হয়ে লড়াই করবে না বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে একক ক্ষমতায় ৩৫০-র বেশি আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে ঝাঁপাতে হলে যতটা সম্ভব বেশি আসনে লড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকে। তা সম্ভব না হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও আর আসবে না। ফলে শরিকদের বেশি আসন বিলোতে রাজি নন মোদী-শাহ। আর সেজন্য ৪৫০-৪৮০টি আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শাহ। দলের এই কৌশল মাথায় রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি সারতে নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


তবে কয়েকটি রাজ্যে এই কৌশলে সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি-


পঞ্জাব: এই রাজ্যে অকালি দলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের জোট বিজেপির। সেখানে বিজেপির চেয়ে শক্তিশালী অকালি। সেক্ষেত্রে শরিকের সঙ্গে কতখানি দরাদরি করতে পারেন অমিত শাহ, তা দেখার। অকালি দল অবশ্য ঘোষণা করে দিয়েছে, লোকসভার ভোটে বিজেপির সঙ্গেই থাকবে তারা। সে রাজ্যে জোট অক্ষুন্ন রয়েছে বিজেপির।  


উত্তরপ্রদেশ: যোগীর রাজ্যে সপা-বসপা-কংগ্রেসের মহাজোট হলে ধাক্কা খেতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে আপনা দলের মতো ছোট দলকে সঙ্গে নিতে হবে তাদের। তবে মহাজোট হলে মিশন ৩৫০ আসনপ্রাপ্তি বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট বহু কেন্দ্রে ফারাক গড়ে দিতে পারে।       


বিহার: বিহারে বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারে আরএলএসপি-র উপেন্দ্র কুশওয়া। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, আরজেডি-কংগ্রেসের শিবিরে ভিড়তে পারেন উপেন্দ্র কুশওয়া। বলে রাখি, বিহারে প্রায় ১০ শতাংশ ভোটের উপরে দখল রয়েছে এই নেতার। ইতিমধ্যে আবার বেসুরো গাইছে এলজেপি। তপশিলি জাতি-উপজাতি আইনে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রত্যাহারে অর্ডিন্যান্স না আনলে দলিত বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান। বিজেপিকে ঝুলিয়ে রেখেছেন নীতীশ কুমারও। তাঁর স্পষ্ট শর্ত, বিহারে তারাই দাদা। সেখানে বিজেপির 'বি টিম' যে নীতীশ হবেন না, তা বলাই যায়। ৪০ আসনের বিহার লোকসভায় জোট ছাড়া বিজেপি যে খুব সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে, তা মনে করেন না অতিবড় গেরুয়া সমর্থক। 


মহারাষ্ট্র: মরাঠাভূমে শিবসেনা-বিজেপির সঙ্গে 'তু তু ম্যায় ম্যায়' চলছেই। তদসত্ত্বেও কেন্দ্রে ও রাজ্যে দুই দলই শরিক। শিবসেনা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আগামী লোকসভা একা লড়াই করবে তারা। বিজেপিও শিবসেনার চাপের মুখে অনড় অবস্থানই নিয়েছে। তবে এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই, এনসিপি-কংগ্রেস সম্ভাব্য জোটের সামনে শিবসেনা বিনে গতি নেই মোদী-শাহের।


এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির একাধিক শরিক রয়েছে। কীভাবে সমঝোতার রাস্তা খুঁজে বের করেন অমিত শাহ, সেটাই এখন দেখার।     


আরও পড়ুন- মহাভারতের এই পাঁচটি শিক্ষা জানলে কখনও অবসাদগ্রস্ত বা বিফল হবেন না