দলে নিয়েও মুকুলের ছোঁয়াচ এড়ালেন অমিত শাহ?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে সদর দফতরে মুকুল রায়কে গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। স্বাগত জানালেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। নতুন দলে নাম লিখিয়েই মিশন ২০২১ ঘোষণা করলেন মুকুল। মুকুলের বিজেপিতে যোগদানের সময় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরেই হাজির ছিলেন সভাপতি অমিত শাহ। অথচ সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেল না তাঁকে। বদলে মুকুলকে যোগদান করালেন দলের দ্বিতীয় সারির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর এতেই নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দেড় দশক ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। রেলমন্ত্রীও পদেও বসেছিলেন। সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রাজনীতিতে এহেন হেভিওয়েট নেতাকে কেন সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, এনিয়েই জল্পনা দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে কুমার শানুকে দলে যোগদান করিয়েছিলেন জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। মুকুলের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও পদমর্যাদার ধারে কাছে আসেন না কুমার সানু । স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এলেন না অমিত?
তবে বিজেপির সদর দফতরে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মুকুল রায়। যোগদানের পরেও কথা বলেন অমিতের সঙ্গে তিনি। তবে মুকুলকে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন না তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুলকে নিয়ে মেপে মেপে পা ফেলতে চায় বিজেপি। মুকুলের মতো ক্ষুরধার বুদ্ধি সম্পন্ন রাজনীতিককে দলে নিলে যতটা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই ক্ষতি হতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে। মুকুল রায়ের গায়ে দুর্নীতির কালি থাকায় তাঁকে অমিত শাহের সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গেলে হাতিয়ার পেয়ে যাবে বিরোধীরা। গুজরাট নির্বাচনের আগে তাই মুকুলের ছোঁয়াচ বাঁচালেন অমিত। পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে সিবিআই তদন্তে মুকুলের বিপদ বাড়লে অমিত-মুকুল হাস্যমুখের ছবি হাতে সরব হতে পারে বিরোধীদের। সেক্ষেত্রে মুকুলকে দলে নেওয়ার কৌশল ব্যুমেরাং হতে পারে। সাত-পাঁচ ভেবেই তাই মুকুলকে দলে নিয়েও দূরত্ব বজায় রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যদিও এই কৌশল কতটা সফল, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। কারণ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগই রাজ্য বিজেপির হাতিয়ার। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই হাতিয়ার ভোঁতা হল 'মুকুলায়নে'।
আরও পড়ুন, টার্গেট ২০২১! বিজেপিতে যোগ দিয়েই ঘোষণা করলেন মুকুল রায়