Manipur Violence: আলোচনা হোক; সরকার ভয় পায় না, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ শাহর
Manipur Violence:অমিত শাহর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা আলোচনা চাই। কিন্তু তা হতে হবে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এর আগে সংসদের বাইরে মণিপুর নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সংসদের মধ্যে কিছু বলেননি। আমরা চাই সংসদের দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরের হিংসা নিয়ে আজও উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ। গতকাল রাজ্যসভা গোলমালের জেরে বহিষ্কৃত হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিরকার্জুন খাড়গে। এর মধ্যেই আজ লোকসভায় মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
আরও পড়ুন-অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে সংসদের মুখ খুললেন শাহ
মঙ্গলবার লোকসভায় একটি বিল নিয়ে কথা বলছিলেন শাহ। তার মধ্যেই সাংসদে মণিপুর নিয়ে নাগাড়ে চিত্কার করতে থাকেন বিরোধীরা। সেই গোলমালের মধ্যেই অমিত শাহ বলেন, বিরোধীদের এইসব স্লোগান খুবই স্বাভাবিক। আবার বলতে চাইছি আজ সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী নেতাদের চিঠি লিখেছি। সেখানে বলেছি, মণিপুর নিয়ে যত লম্বা আলোচনাই হোক না কেন তা করতে চাই। সরকার ভয় পায় না। যারা মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা আলোচনা করুক। আমাদের লুকনোর কিছু নেই। বিরোধীদের আমি বলতে চাই, মানুষ আপনাদের দেখছে। নির্বাচনে মানুষের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের ক্ষোভের কথা মাথায় রাখুন। আর মণিপুরের মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
অমিত শাহর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা আলোচনা চাই। কিন্তু তা হতে হবে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এর আগে সংসদের বাইরে মণিপুর নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সংসদের মধ্যে কিছু বলেননি। আমরা চাই সংসদের দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিন। তা হলেই আমরা সংসদ শান্তিতে চলতে দেব। গতকালই অমিত শাহ বলেন, বিরোধী সাংসদদের প্রতি আমার বক্তব্য, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বিষয়ে নিয়ে বহু সাংসদ আলোচনা চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি সংসদে আলোচনা করতে প্রস্তুত। বুঝতে পারছি না বিরোধীরা এনিয়ে আলোচনা করতে দিচ্ছে না কেন? বিরোধীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আলোচনা হতে দিন। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে গোটা দেশ সত্যিটা জানুক।
টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে জাতিদাঙ্গার বিধ্বস্ত মণিপুর। নগ্ন করে ২ মহিলাকে হাঁটানো, রাস্তায় কাটা মুন্ড ঝুলিয়ে রাখা একাধিক গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা সামনে আসছে। গত ২৮ মে কাকচিং জেলায় এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধা স্ত্রীকে ঘরে তালা দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবর হল কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, আপ সাংসদরা। তাঁদের দাবি, সংসদের উভয় কক্ষতেই মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
গতকাল সংসদের বাইরে আজ মণিপুর নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সংসদের উভয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করেন তাঁরা। ওই বিক্ষোভ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তিন মাস ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবস্থান কী তা স্পষ্ট করতে হবে। পনেরশো কোটি টাকা খরচ করে সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। সরকার সেখানে আলোচনাই চায় না। বাংলায় তো ইন্টানেট চলছে। আপনার যদি মনে হয় বাংলার পরিস্থিতি মণিপুরের থেকেও খারাপ তাহলে মণিপুরে ইন্টারনেট চালু করুন। ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে তিন মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ। এর থেকেই বোঝা যায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার কতটা অপদার্থ। অন্যদিকে, বিরোধী সাংসদদের বিক্ষাভ নিয়ে তৃণণূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী এসে সংসদে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন। বিজেপির কাজই হল মিথ্যে কথা রটানো।
অন্যদিকে, রাজ্যসভায় আজ খাড়গে বলেন, গত ৪ দিন ধরে সংসদে এতগুলো দলের প্রতিনিধি ২৭৬ ধরায় নোটিস দিয়ে আসছেন মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য। আজ মণিপুর জ্বলছে, ধর্ষণ হচ্ছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখানে মণিপুরের কথা বলছি আর উনি ইস্ট ইন্ডিয়া কেম্পানির কথা বলছেন! ইন্ডিয়া মানে ইস্ট ইন্ডিয়া বলছেন!
বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী? প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ইন্ডিয়া-র নাম কেউ ব্যবহার করলেই সবকিছু হয় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামেও ইন্ডিয়া ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামেও ইন্ডিয়া আছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি দিশাহীন। এমন বিরোধীপক্ষ কখনও দেখিনি। ২০২৪ সালে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।