নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভোকাল ফর লোকাল' বাংলার নেতাদের ভোটমন্ত্র দিলেন অমিত শাহ। পুজোর আগে সংগঠনের হালহকিকত জানতে আসছেন বাংলায়। এই সফরে গোটা রাজ্যকে একাধিক জোনে ভাগ করে নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিল্লি বিজেপির নতুন পার্টি অফিস থেকে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, এবার লক্ষ্য বাংলা। তার আগে একাধিবার তিনি বলেছেন,''পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল জয় ছাড়া বিজেপির স্বর্ণযুগ বলা যাবে না।'' তাই সর্বভারতীয় সভাপতির ব্যাটন দলীয় নিয়ম মেনে জেপি নাড্ডার হাতে গেলেও বাংলায় সংগঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ভার নিজের কাছেই রেখেছেন শাহ। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাড্ডা ও শাহ। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রস্তাব দেন, পুজোর আগে একটিবার যেন রাজ্যে আসেন অমিত শাহ। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসছেন পুজোর আগেই। সূত্রের খবর, ১০ অক্টোবরের পর বাংলায় আসার কথা অমিত শাহের। পুজোর পর আসবেন জেপি নাড্ডা।            


অমিত শাহ রাজ্যে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। পশ্চিমবঙ্গকে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক অঞ্চলে ভাগ করে নেতৃত্বের সঙ্গে বসবেন। প্রথম বৈঠকে থাকবেন উত্তরবঙ্গের নেতানেত্রীরা। মূলত দলীয় সংগঠনের হাল দেখবেন মোদীর সেনাপতি। এদিনই রাজ্য নেতাদের শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করতে হবে। কলকাতার বৈঠকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে সকলকে। এদিকে ভোটের রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। তিনি হলেন বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক।           


এদিন বৈঠকে বাংলায় প্রচারের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, স্থানীয় ইস্যুগুলি নিয়ে সরব হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রচারে থাকবে আমফানের ত্রাণ নয়ছয়, রেশন দুর্নীতি, কাটমানি ও আইনশৃঙ্খলা। কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের দাবি খণ্ডন করতে পাল্টা প্রচারে নামতে হবে রাজ্যের নেতৃত্বকে। দেখতে হবে কোথায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হয়নি, তার জেরে মানুষের কতখানি লোকসান হচ্ছে, সে সব তুলে ধরতে হবে প্রচারে। জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপি- প্রথমবার বাংলায় গেরুয়া শক্তির জয়ের ইঙ্গিত মিলছে। আর সে কারণে একুশের আগে উৎসবের মরসুমেও এতটুকু ঢিলে দিতে নারাজ শাহ, বলছেন বিজেপি নেতারা।


আরও পড়ুন-  মুকুলেই আস্থা শাহ-নাড্ডার, পাচ্ছেন বাংলার বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব