ওয়েব ডেস্ক: বেফাঁস বলে মাঝেমাঝেই দলের নেতাদের বিপাকে ফেলেন রাহুল। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোক্ষম সময় তাঁর স্মৃতিভ্রমও নতুন কিছু নয়। ফের একবার এমন কাণ্ড ঘটালেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। বেঙ্গালুরুতে মুখ ফসকে একবার খবরের শিরোনামে তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে তামিলনাড়ুর AIADMK সরকারের আম্মা ক্যান্টিনের অনুকরণে কর্ণাটকে চালু হয়েছে জনতার ক্যান্টিন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে কর্ণাটকে একই রকম প্রকল্প চালু করেছে সেরাজ্যের সরকার। খুব কম খরচে এই প্রকল্পে পেট ভরে খাবার পাওয়া ‌যাবে বলে আশ্বস্ত করেছে কংগ্রেস পরিচালিত কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে বুধবার বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানেই বিপত্তি বাঁধান তিনি। বলে রাখি, তামিলনাড়ুতে জয়ললিতাকে 'আম্মা' বলে সম্মোধন করেন তাঁর অনুগামীরা। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনিই তামিলনাড়ুতে চালু করেছিলেন 'আম্মা ক্যান্টিন'। 


সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন রাহুল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু থেকে শুরু হল। কয়েক মাসের মধ্যে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরু-সহ গোটা কর্ণাটকে কেউ অভুক্ত থাকবে না। আম্মা, থুড়ি ইন্দিরা ক্যান্টিনের ভাবনা হল, কেউ অভুক্ত থাকবে না।' 


বুধবার বেঙ্গালুরুর ১০১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে ইন্দিরা ক্যান্টিন চালু হয়েছে। বাকি ৯৭টি ওয়ার্ডে ২ অক্টোবরের মধ্যে এই পরিষেবা চালু হবে। ক্যান্টিনগুলিতে ৫ টাকায় সকালের খাবার ও ১০ টাকায় দুপুরের খাবার মিলবে সেখানে। মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। 


এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। বলেন, 'দেখবেন এখানে খাবার খেতে লাইন দেবেন বিজেপি নেতারাই।' এদিন ইন্দিরা ক্যান্টিনে প্রথম আহার করেন রাহুল। বলেন, 'বেঙ্গালুরুর সেরা রেস্তোঁরাগুলির সমমানের খাবার পরিবেশনের লক্ষ্যে এগোব আমরা। শহরের সব থেকে গরিব মানুষও খালি পেটে থাকবেন না।'