নিজস্ব প্রতিবেদন: জোমাটো বিতর্কে বিভক্ত নেটিজেনরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টুইটারে ট্রেন্ড করতে শুরু করে দেয় #BoycottUberEats ও #ZomatoUninstalled। নেটিজেনদের ওই অংশের বক্তব্য, দ্বিচারিতা করেছে জোমাটো। খাবারের যদি ধর্ম না-ই থাকবে তাহলে কেন হালাল-নন হালাল খাবার আলাদা করে চিহ্নিত করছে তারা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন জোমাটো ও উবর ইটস অ্যাপ মোবাইল ফোন থেকে আনইনস্টলড করা শুরু করে নেটিজেনদের একাংশ। টুইটারে সেই স্ক্রিনশটও দেন তাঁরা। গতকাল জোমাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে চাননি এক গ্রাহক। এরপর জোমাটো তাঁকে জানিয়ে দেয়,'খাবারের কোনও ধর্ম নেই। এটাই ধর্ম।' 



এরপরই জোমাটোর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন নেটিজেনরা। একটি পুরনো স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তাঁরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, হালাল মাংস না পাওয়ায় সংস্থাকে অভিযোগ করেছেন এক গ্রাহকরা। তাঁকে আশ্বস্ত করছে জোমাটো। নেটিজেনদের ওই অংশের প্রশ্ন, হালাল খাবারের বেলায় তো জোমাটো বলছে না, খাবারই ধর্ম। অন্যক্ষেত্রে ভিন্ন কেন? এর পাশাপাশি হালাল বা নন-হালাল আলাদা করে খাবারই চিহ্নিত করে কেন সংস্থা?    










মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লা জোমাটোতে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। তাঁকে খাবার পাঠানোর দায়িত্ব অহিন্দুকে দিয়েছিল জোমাটো। এরপরই অমিত শুক্লা টুইটারে লেখেন, 'হিন্দু রাইডার না দেওয়ায় খাবারের অর্ডার বাতিল করলাম। জোর করে ডেলিভারি দিতে পারেন না। ওরা অস্বীকার করায় রিফান্ডও চাইনি'। এরপরই ওই গ্রাহককে জোমাটো জানায়, 'খাবারের কোনও ধর্ম নেই। এটাই ধর্ম।' জোমাটোর ওই টুইটটি রিটুইট করে উবর ইটস জানায়, পাশে আছে তার। সে কারণে তাদের উপরেও ক্ষোভ গিয়ে পড়ে নেটিজেনদের।  






সংস্থার কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে মালিক দীপেন্দ্র গোয়েল স্পষ্ট জানান, ভারতের মূল ভাবনায় আমরা গর্বিত। এজন্য ব্যবসায় লোকসান হলেও নীতির সঙ্গে সমঝোতা করব না।       


আরও পড়ুন- রাজ্যে সংগঠনের খুঁটিই নেই, দুর্গাপুজো দখলে মুখ পুড়িয়ে শিক্ষা হল বিজেপির