নয়া দিল্লি: ঝাড়ু ঝগড়া এখন ঝড়ে পরিণত হল। প্রশান্ত ভূষণ-যোগেন্দ্র যাদবদের বিদ্রোহের মাঝে দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রে দলের দায়িত্বে থাকা নেত্রী অঞ্জলি দামানিয়া। তবে তার চেয়েও বড় বিপদ হল যোগেন্দ্র যাদবের চিঠি বোমা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে পাঁচ বেডরুমে ঘরে উঠছেন, কিন্তু তাঁর দলের ঘরে এখন অশান্তি-ঝামেলা আর বিদ্রোহের কালো মেঘ।
 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লি জয়ের পর মহারাষ্ট্রে সংকটের সম্মুখীন আম আদমি পার্টি।দলত্যাগ করলেন। "অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিধায়ক কেনা বেচা করেন', এই অভিযোগে  দলত্যাগ করার সিদ্ধন্ত নিয়েছেন অঞ্জলি।     



 টুইট করে অঞ্জলি দামানিয়া জানিয়েছেন, " আমি অরবিন্দকে বিশ্বাস করতাম। বিধায়ক কেনা বেচার নীতিকে আমি সমর্থন করি না। এই নির্বুদ্ধিতার জন্যে আমি আম আদমি পার্টিতে আসিনি।"  


একটি কথোপকথনের কথাও উল্লেখ করেছেন অঞ্জলি। যেখানে রাজেশ গার্গের সঙ্গে আপ-এর প্রাক্তন বিধায়ক রোহিণী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথোপকথন হয়েছে বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের পর  অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কংগ্রেসের বিধায়কদের সাথে কথা বলেছিলেন, এমনটাই অভিযোগ করেছেন  অঞ্জলি দামানিয়া। অঞ্জলির দাবি, ২১৪ সালের জুলাই মাসে এই বিধায়ক কেনা-বেচার কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন অরবিন্দ। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস থেকে বিধায়কদের আপ-এ নিয়ে  আসবার জন্য  কেজরিওয়াল তাঁর সাথেও কথা বলেছিলেন।


 কেজরিওয়াল ঘনিষ্ঠ বলেই  পরিচিতি ছিল অঞ্জলির। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্জলি দামানিয়ার দলত্যাগ বিস্ময় তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন অঞ্জলি দামানিয়া।  জুন, ২০১৪ দলের কর্মিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা না করতে পারার অভিযোগ জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।  কিন্তু দল যখন তাকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেবে বলে ঠিক করে, নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে দলের দায়িত্ব নেন অঞ্জলি দামানিয়া। লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে নিতিন গড়করির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। 


    


দল এখন ঘরে বাইরে উভয়মুখী সঙ্কটের সম্মুখীন। মহারাষ্ট্রে নেত্রীর পদত্যাগ আর দিল্লিতে নেতাদের বাকবিতণ্ডা দলের অন্দরে গভীর সঙ্কট তৈরি করেছে। দলে অরবিন্দ  ঘনিষ্ঠ যোগেন্দ্র যাদব, শান্তি ভূষণ, প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন দলেরই নেতা মনিষ সিসোদিয়া। অবিযোগ, বিধানসভা ভোটে  দলকে পরাজিত করতে চেষ্টা করেছিলেন যোগেন্দ্র যাদব, শান্তি ভূষণ, প্রশান্ত ভূষণরা।     


অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যোগেন্দ্র যাদব,প্রশান্ত ভূষণ। " সময় এসেছে। দেশ এবার সত্যি টা জানতে পারবেন", মন্তব্য প্রশান্ত ভূষণের। যোগেন্দ্র যাদব বলেন, তাঁরা যদি দল বিরোধী কাজ করে থাকেন তাহলে তদন্ত করুক দল। দলের লোকপাল কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্যিকে সামনে আনুক।  


দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি থেকে  যোগেন্দ্র যাদব,প্রশান্ত ভূষণ সিদ্ধন্ত নিয়েছে দল। ২৮ মার্চ আপ-এর পরবর্তি সভায় এই বিষয় নিয়ে এক দফায় আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।


এসবের মধ্যেই ১৭ মার্চ উত্তর দিল্লিতে ৫ বেড রুমের ফ্ল্যাটে উঠবেন 'আম আদমি' কেজরি। ব্যাঙ্গালুরু থেকে আগামী সপ্তাহতেই নতুন ফ্ল্যাটে আসবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।  নিজের ঘর থেকেই দলের অফিস পরিচালনা করবেন কেজরি।