Assam Madarsa Demolition: ফের বুলডোজার! এবার অসমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদ্রাসা
এই বছরের মার্চ থেকে, অসমের পুলিশ এই উভয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং রাজ্যে জিহাদি স্লিপার সেল স্থাপনের চেষ্টা করার জন্য একজন বাংলাদেশী নাগরিক সহ প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার রাতে অসমের বাঙ্গাইগাঁওয়ে একটি অবৈধ মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদ্রাসায় ২২৪ জন শিশু বাস করত বলে জানা গিয়েছে। মধ্যরাত পর্যন্ত শিশুদের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলে। তার পরে একটি বুলডোজার চালানো হয় এই মাদ্রাসায়। বাঙ্গাইগাঁও-এর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি জারি করে। এই মাদ্রাসা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত হয়নি বলে জানানো হয় সেখানে। এই মাদ্রাসাটি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যুক্ত। তিনি একই মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক। তাকে AQIS এবং আনসার-উল-বাংলা দলের সদস্য হওয়ার কারণে অসম পুলিশ ২৬ অগস্ট গ্রেফতার করে।
ভুমিকম্পের সিসমিক জোন ৫-এ থাকার কারণে যে কোনও সময় যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই মাদ্রাসাটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়। এটি অসমের তৃতীয় মাদ্রাসা, যা অবৈধভাবে নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর আগে মনিকা ও গোয়ালপাড়ায় দুটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তাদেরও জিহাদিদের সঙ্গে যোগ ছিল বলে জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদ্রাসার সঙ্গে কোনও অসামাজিক কার্যক্রমের জড়িত থাকার খবর পুলিস অথবা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এই বছরের মার্চ থেকে, অসমের পুলিশ এই উভয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং রাজ্যে জিহাদি স্লিপার সেল স্থাপনের চেষ্টা করার জন্য একজন বাংলাদেশী নাগরিক সহ প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের কঠিন সময়! আজাদের পথে হেঁটে পদত্যাগ করে 'হাত' ছাড়লেন আরও ৪২ নেতা
এই মাসের শুরুতে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন যে রাজ্য পুলিস ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা এবং বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকটি মডিউল ধ্বংস করেছে। এই সংগঠনগুলি রাজ্যের যুবকদের উগ্রপন্থী কার্যকলাপে সক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে সাম্প্রতিক অতীতে কিছু মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে চরমপন্থী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনগণকে, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন এলাকার মসজিদ বা মাদ্রাসায় কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে দেখলে পুলিসকে জানাতে বলেন তিনি। পুলিস তাদের বিষয়ে তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আশ্চর্যজনকভাবে, এই সমস্ত কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল, এখন পর্যন্ত, 'মাদ্রাসা' বলে মনে হচ্ছে। আমি সবাইকে এক করছি না, তবে আজ পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের 'মাদ্রাসার' সঙ্গে কিছু সংযোগ রয়েছে অথবা তারা কোনও মসজিদে প্রচারক হিসাবে কাজ করছে’।