জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডাক্তার নাকি ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিযোগিতার দৌড়ে ফের পিছলে গেল পা। রাজস্থানের কোটায় সর্বভারতীয় ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে ফের আত্মঘাতী এক পড়ুয়া। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে এটি হল দ্বিতীয় আত্মহত্যা। অন্যদিকে গত ২ মাসে এনিয়ে আটজন পড়ুয়া আত্ঘাতী হল কোটায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে চলছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন গোয়েন্দা প্রধান


পুলিস সূত্রে খবর, কোটার বিজ্ঞান নগরে থাকতেন ওই পড়ুয়া। বাড়ি উত্তরপ্রেদশের মউয়াতে। এনিয়ে এবছর মোট ২৬ পড়ুয়া আত্মঘাতী হল কোটায়।


গত ২৭ আগস্ট কোটায় আত্মঘাতী হন ২ পড়ুয়া। নিট-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আবিষ্কার শুভাঙ্গী। ওইদিনই আত্মঘাতী হন বিহারের বাসিন্দা আদর্শ নামের এক পড়়ুয়াও। ওই দুই মৃত্যু পর কোটার জেলাসাশক নির্দেশিকা জারি করেন কোটার কোচিং সেন্টারগুলিতে এক মাস কোনও টেস্ট নেওয়া যাবে না।


মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আবিষ্কার শুভাঙ্গী তার দাদু-দিদার সঙ্গে কোটায় থাকতেন। ঘটনার দিন কোচিং সেন্টারে একটি টেস্ট দেওয়ার পর সেন্টারের ৬ তলা থেকে নীচে লাফিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।  ওইদিন সন্ধেতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন আদর্শও।


একটি পরিসংখ্যান দেখে দেখা যাচ্ছে করোনার পর দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোটাতেও সেই ছবি দেখা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন ১২ জন। এর আগের বছর ওই সংখ্য়াটা ছিল ১০। গত বছর ১৫ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন কোটায়। গত সপ্তাহেই ১৫টি প্যারাসিটামলট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন এক পড়ুয়া। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টেস্টে কম নম্বর পাওয়ায় সে অবসাদে ভুগছিল বলে জানিয়েছিল তার বন্ধু।


একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে কোটায়। সেদিকে নজর রেখে স্প্রিং দেওয়া সিলিং ফ্যান লাগাতে বলা হয়েছে হস্টেলগুলিকে। কেউ সেখানে ফাঁস দিয়ে ঝুললেই তা অনকেটাই নীচের দিকে নেমে যাবে। পাশাপাশি ছাদ থেকে কেউ যাতে নীচে ঝাঁপ দিতে না পারে তার জন্য হস্টেলের চারদিকে জাল টাঙাতেও নির্দেশ দেয় প্রশাসন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)