লোকাল ট্রেনের ব্রেক ফেল, পিছনে পিঁপড়ের হাত!
পিপিলিকার ডানা হয় মরিবার তরে। না, আজ থেকে বলা যেতে পারে `মারিবার তরে`। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে মুম্বইয়ে একটি লোকাল ট্রেন রক্ষা পেল। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এই দুর্ঘটনার পিছনে পিঁপড়ের `মাথা` রয়েছে। হ্যাঁ `মাথা`ই রয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: পিপিলিকার ডানা হয় মরিবার তরে। না, আজ থেকে বলা যেতে পারে 'মারিবার তরে'। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে মুম্বইয়ে একটি লোকাল ট্রেন রক্ষা পেল। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এই দুর্ঘটনার পিছনে পিঁপড়ের 'মাথা' রয়েছে। হ্যাঁ 'মাথা'ই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, দুপুর ১ টা। কল্যাণ স্টেশন থেকে আসছে সিএসটি লোকাল। মাতুঙ্গা স্টেশনে থামার কথা ট্রেনটির। ড্রাইভার ব্রেক কষতে গিয়ে দেখেন ব্রেক কাজ করছে না। কোনও কিছু বুঝতে না পেরে মোটরম্যান এ কে দুবে প্যাসেঞ্জার নামানোর জন্য তড়িঘড়ি ইলেক্ট্রো-নিউমেটিক ব্রেক ব্যবহার করেন। তাতেও কিছু করা যায়নি। হঠাতই এমন হওয়ায় আশ্চর্য হয়ে পড়েন মিস্টার দুবে। স্টেশন পেরিয়ে ট্রেন ছুটে চলেছে। যাত্রীরা শঙ্কিত, হঠাৎ কী হল? ট্রেন থামল না কেন?
বিপদ শিয়রে বুঝতে পেরে ইমারজেন্সি ব্রেক কষেন দুবে। অবশেষে একটা বড় ঝাঁকুনিতে থামে ট্রেন। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। ট্রেনের গার্ডকে সমস্ত কথা জানান মিস্টার দুবে। কন্ট্রলরুমেও জানানো হয় সমস্ত ঘটনা। কিন্তু কী কারণে এতবড় ঘটনা ঘটল বুঝে উঠতে পারছেন না বাঘা বাঘা ইঞ্জিনিয়াররা। শেষে আদ্যোপান্ত চেকআপ করানোর জন্য ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মাতুঙ্গা কারশেডে। সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে দেখা গেল ব্রেক বক্সে রয়েছে পিঁপড়ের বাসা। রীতিমতো জাঁকিয়ে সংসার করছে তারা। যার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে রিজানেরিটিং ও ইলেক্ট্রো নিউমেটিক কেবিল।
পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও রেলের গাফিলতি চাপা দিতে মুম্বই ডিভিশনের সেন্ট্রাল রেলওয়ের ডিআরএম অমিতাভ ওঝার সাফাই "আরও কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এটা একটি বিরলতম দুর্ঘটনা।"