নিজস্ব প্রতিবেদন: বুলন্দশহর হিংসায় অন্যতম অভিযুক্ত সেনা জওয়ান জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশে এসটিএফ। শনিবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয় সেনা। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের আধিকারিক অভিষেক সিং সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জিতেন্দ্রকে জেরা করা হয়েছে। তাকে বুলন্দশহরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে আদালতে তুলে পুলিস হেফাজত চাওয়া হবে। জিতেন্দ্র জেরায় স্বীকার করেছে, গত সোমবার বুলন্দশহরে সংঘর্যের সময়ে সে ঘটনাস্থলে ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত প্রমাণ হয়নি যে সে-ই পুলিস ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিং কিংবা সুমিত নামে এক যুবককে গুলি করেছিল। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথার ছোঁড়ার ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল না বলে দাবি করেছে।




আরও পড়ুন-মঙ্গলের বায়ুপ্রবাহের শব্দ পাঠাল NASA-র যান ইনসাইট


উল্লেখ্য, গত সোমবার গোহত্যা হয়েছে সন্দেহে সরগরম হয়ে ওঠে বুলন্দশহর। তাণ্ডব চালায় গোরক্ষকরা। গোরক্ষকদের ছোড়া ইটে গুরুতর জখম হন ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। সূত্রের খবর, হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে সুবোধের গাড়ি ঘিরে ধরে উন্মত্ত জনতা। অভিযোগ, প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তার নিরাপত্তারক্ষীরাও। এর পর গাড়ির মধ্যেই সুবোধ কুমারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


সন্দেহের তির যায় জওয়ান জিতু ফৌজির দিকে। সংঘর্ষের কিছু ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখা গিয়েছে বলেই এনডিটিভ সূত্রে খবর। জিতেন্দ্রের বড় ভাইও সেনাবাহিনীতে কাজ করে। পুলিসের অভিযোগ, সম্প্রতি সে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। ঘটনার দিন সে ঘটনাস্থলে ছিল। কিন্তু সেদিনই সন্ধেয় সে কাশ্মীর ফিরে যায়। জিতু বুলন্দশহর হিংসায় ঘটনায় এগারো নম্বর অভিযুক্ত।


আরও পড়ুন-জলপাইগুড়িতে পুলিসের ওপর হামলায় সরকারি কর্মীসহ ৮ জন গ্রেফতার


শনিবার সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল কাশ্মীর থেকে জিতেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসে। এর আগে খোদ সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, জিতুর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে আরা তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেব। তদন্তে পুলিসের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করবে সেনা।