নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জী তৈরি পদ্ধতি নিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে অসম। নাগরিকপঞ্জী তৈরির ক্ষেত্রে যে সব তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ছে তারই একটি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, তদন্ত রিপোর্টে এমন একজনকে ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ বা ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যিনি এ দেশের প্রাক্তন সেনা কর্মী। প্রায় ৩০ বছর তিনি ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন। নাম, মহম্মদ সানাউল্লা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোটিশ পেয়ে আদালতে প্রমাণপত্র নিয়ে হাজির হন কামরূপ জেলার কোলোহিকাশ গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনা সানাউল্লা। তাঁর নথিপত্র যাচাই করার পরই ঘটনা একেবারে অন্য দিকে মোড় নেয়। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এবং জাল নথি তৈরির অভিযোগ ওঠে এই ঘটনায় তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত অদন্তকারী অসম সীমান্ত পুল‌িশ বাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিক চন্দ্রমল দাসের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে যে তিন ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে, তাঁরাও দাবি করেন যে এই ঘট‌নার কোনও তদন্তই করা হয়নি। তাঁদের দাবি জাল তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন চন্দ্রমল দাস।


এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী কুরান আলির দাবি, তাঁকে তদন্তের জন্য একবারও ডেকে পাঠানো হয়নি। তাছাড়া যে সময় এই তদন্ত রিপোর্টটি তৈরি করা হয় (২০০৮-’০৯), ওই সময় তিনি ওই অঞ্চলেই থাকতেন না, থাকতেন গৌহাটিতে। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্ট অনুযায়ী যাঁর নাগরিকত্বের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সেই মহম্মদ সানাউল্লা এই তদন্তের সময় মণিপুরে বিদ্রোহ-দমন শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাহলে এই ঘটনায় তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত অদন্তকারী আধিকারিক চন্দ্রমল দাস এই রিপোর্ট তৈরি করলেন কী করে?


আরও পড়ুন: লাথির পর এনসিপি-র নেত্রীকে রাখি পরিয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক


এ ক্ষেত্রে চন্দ্রমল দাসের ব্যাখ্যা, যাঁকে তিনি সে সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন আর এই আর্মি সুবেদার মহম্মদ সানাউল্লা এক ব্যক্তি নন। তবে তাঁর নামও সানাউল্লা। চন্দ্রমলের দাবি, একই নাম হওয়াতে সম্ভবত প্রশাসনিক স্তরে এই ভুল রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের এই ব্যাখ্যার পরও একটা ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। তদন্তের সময় আর্মি সুবেদার মহম্মদ সানাউল্লা ছিলেন মণিপুরে। তদন্তের তিন প্রধান সাক্ষীর দাবি, তদন্তে তাঁদের ডাকাই হয়নি। তাহলে সানাউল্লার গ্রাম কোলোহিকাশের অন্যান্য বাসিন্দাদের সাক্ষ্য এই রিপোর্টে এল কী করে!


তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।