তৈরি ছিল প্রেশার কুকার বোমা, ব্যস্ত করোলবাগে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ছক ছিল ধৃত IS জঙ্গির
বিস্ফোরণের জন্য ২টো প্রসার কুকারে সে ১৫ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই করে তাতে আইডি ফিট করেছিল। অর্থাত্ বোমা তৈরি হয়ে গিয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২১ অগাস্ট গভীর রাতে দিল্লি থেকে পাকড়াও ISIS জঙ্গি মহম্মদ মুস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ফাঁস করল দিল্লি পুলিস।
জেরায় মুস্তাকিম জানিয়েছে করোলবাগের জনবহুল এলাকায় বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল তার। তার আগেই অবশ্য পুলিসের জালে পড়ে যায় সে।
আরও পড়ুন-হঠাত্ মুকুল রায়ের সঙ্গে কিসের বৈঠক! নলহাটির তৃণমূল ব্লক সভাপতিকে তলব অনুব্রতর
পুলিসের জেরায় মুস্তিকম আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য ২টো প্রসার কুকারে সে ১৫ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই করে তাতে আইডি ফিট করেছিল। অর্থাত্ বোমা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বাকী ছিল শুধু করোলবাগের কোনও ব্যস্ত এলাকায় ওই বিস্ফোরক বোঝাই কুকার রেখে আসা। এর পরবর্তি তার টার্গেট ছিল রাজধানীর অন্য কোনও জায়গায় কোনও ফিঁদাইন হামলা চালানো।
উল্লেখ্য, ২১ অগাস্ট রাতে দিল্লির রিজ রোডে ধৌলা কুঁয়া ও করোল বাগের মধ্যের একটি জায়গায় ছোটখাটো গুলির লড়াইয়ের পর গ্রেফতার করা হয় আইএস জঙ্গি মহম্মদ মুস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফকে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি আইইডি উদ্ধার হয়। মুস্তাকিমকে জেরা করে আরও বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক বেল্ট উদ্ধার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। মুস্তাকিমের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে। দিল্লিতে একটি লোন উলফ হামলার ছক কষেছিল সে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওইসব বিস্ফোরক ও সুইসাইড বেল্ট জড়ো করা হয়েছিল দিল্লিতে ফিঁদাইন হামলার জন্য। মুস্তাকিমের কাছ থেকে পাওয়া আইইডি দুটি পরদিন নিষ্কৃয় করে এনএসজি কমান্ডোরা। দিল্লি পুলিসের একটি দল গত ২৩ অগাস্ট মুস্তাকিমকে তার বলরামপুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই উদ্ধার হয় ওই বিস্ফোরক ও বেল্ট।
আরও পড়ুন-দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ পার, মাত্র ১৬ দিনে আক্রান্ত ১০ লাখ
২২ অগাস্ট সাংবাদিকদের দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলের কমিশনার প্রমোদ কুশওয়াহা বলেন, মুস্তাকিমের কাছে থেকে দুটি প্রেসার কুকার আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর বুকে সে জঙ্গি হামলার ছক কষেছিল। তার হামলার পরিকল্পনা ছিল ১৫ অগাস্ট। কিন্তু সেই হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
দিল্লি পুলিসের দাবি, মহম্মদ মুস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফের সঙ্গে আইএস-এর যোগাযোগ ছিল। ওই হামলার পরিকল্পনার মাথা ছিল আইএস জঙ্গি ইউসুফ আলহিন্দি। সম্প্রতি সে সিরিয়ার মারা গিয়েছে। পরে মুস্তাকিমকে পরিচালনা করতে থাকে পাক নাগরিক আবু হুজাফা। হুজাফাও আফগানিস্তানে ড্রোন হামলায় মারা যায়। গত এক বছর ধরে মুস্তাকিমের ওপরে নজর রাখছিল পুলিস।