Shrikant Tyagi case: ও আমার বোনের মতো! মারধর করে অনুতাপ ধৃত বিজেপি নেতার
Shrikant Tyagi case: সহ-আবাসিক ওই মহিলার সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়ান শ্রীকান্ত ত্যাগী। তারপর ওই মহিলার উপর শ্রীকান্ত ত্যাগী হাত ওঠান বলে অভিযোগ। এমনকি ওই মহিলার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আচমকা ইউ-টার্ন শ্রীকান্ত ত্যাগীর! ওই মহিলা তাঁর বোনের মতো... দাবি ধৃত বিজেপি নেতার। এমনকি এজন্য তিনি অনুতাপও করেন। শ্রীকান্ত ত্যাগীর আরও দাবি, গোটা ঘটনার পিছনে একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের কাছে গাছ লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডার সময় প্রকাশ্যে একজন মহিলাকে মারধর করে শিরোনামে উঠে এসেছেন বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগী। ঘটনাটি ঘটে নয়ডায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি 'নেতা' শ্রীকান্ত ত্যাগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একই হাউসিং সোসাইটির বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে দুর্বব্যবহার করেন। তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। কিন্তু এবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শ্রীকান্ত ত্যাগী।
শ্রীকান্ত ত্যাগী স্বঘোষিত বিজেপি নেতা। নয়ডার সেক্টর ৯৩-এর গ্র্যান্ড ওম্যাক্স হাউজিং সোসাইটিতে একজন মহিলাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁকে লাঞ্ছনা করার অভিযোগ ওঠে এই স্বঘোষিত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যে অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। এখন তাঁর দাবি, ওই মহিলা তাঁর বোনের মতো ছিল। এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। তাঁকে 'রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস' করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র। হাউজিং সোসাইটির মহিলা সহ-আবাসিককে লাঞ্ছনা করার অভিযোগে শ্রীকান্ত ত্যাগীকে সুরাজপুর আদালত ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথেই তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, 'আমি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি আমার বোনের মতো। ঘটনাটি রাজনৈতিক। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করার জন্য করা হয়েছিল।'
আরও পড়ুন, Grand Omaxe Society case: ফের বুলডোজার! নয়ডায় ভাঙল বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগীর বাড়ি
মঙ্গলবার মেরঠ থেকে শ্রীকান্ত ত্যাগীকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিশ কমিশনার অলোক সিং জানান, ত্যাগীকে মেরঠের কাছে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার তিন সহযোগীকেও। পাশাপাশি, ত্যাগীর তিনটে গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। প্রসঙ্গত, প্রকাশ্য়ে ওই মহিলাকে মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগীর চরম শাস্তির দাবিতে সরব হন নেটিজেনরা। নয়ডার সেক্টর ৯৩-এর গ্র্যান্ড ওম্যাক্স হাউজিং সোসাইটিতে সহ-আবাসিক ওই মহিলার সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়ান শ্রীকান্ত ত্যাগী। তারপর বচসা চরমে উঠলে, ওই মহিলার উপর শ্রীকান্ত ত্যাগী হাত ওঠান বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, এমনকি ওই মহিলার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে।
তবে এটাই প্রথম নয়। গুণধর এই স্বঘোষিত বিজেপি নেতার আরও কীর্তি আছে। লখনউয়ের গোমতীনগরে তাঁকে অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় হাতেনাতে ধরেছিলেন তাঁর স্ত্রী। শ্রীকান্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর স্ত্রী। ওদিকে ওই মহিলাও পাল্টা শ্রীকান্ত ত্যাগীকে তাঁর স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এমনকি, দুই মহিলা-ই একে অপরের বিরুদ্ধে স্বামী হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। এবার আবার প্রকাশ্যে মহিলাকে মারধরের এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিড়ম্বনায় পড়ে যান শ্রীকান্ত ত্যাগী। ইতিমধ্যে অন্যান্য বিজেপি নেতারাও তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। শ্রীকান্ত ত্যাগী কোনও দিন বিজেপির সদস্য ছিল না বলে দাবি করেছে নেতৃত্ব।