নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রাম্পের সফরের মাঝেই অগ্নিগর্ভ দিল্লি। CAA র পক্ষে বিপক্ষে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জাফরাবাদ। প্রকাশ্যেই চলেছে গুলি। গতরাতে ব্রহ্মপুরীতে নতুন করে গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। সকালেও ব্রহ্মপুরীতে  দেদার পাথরবৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিসকর্মী সহ পাঁচজনের। জখম ১৬০। একাধিক এলাকায় জ্বলেছে আগুন। পরপর পুড়েছে গাড়ি, দোকান। কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গতকালই নামানো হয়েছে আধাসেনা। অবস্থা এতটাই খারাপ যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সব স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বন্ধ রয়েছে জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জহরি এনক্লেভ ও শিব বিহার মেট্রো স্টেশন। পরিস্থিতি সামলাতে হিংসা কবলিত এলাকার বিধায়ক ও প্রশাসনিক কর্তাদের জরুরি বৈঠকে ডাকলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি টুইটে জানান, দিল্লির বেশ কিছু জায়গার অশান্তি নিয়ে চিন্তিত। শহরে শান্তি ফেরাতে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। হিংসা থেকে বিরত থাকার বার্তা দেন তিনি। গতরাতে জরুরি বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি পুলিস ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।


আরও পড়ুন- বেআব্রু রাজধানীর নিরাপত্তা! পুলিসের সামনেই খুলে আম গুলি বন্দুকবাজের


কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনের আশ্বস্ত, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন ,  কারও নাগরিকত্ব খারিজ করা হচ্ছে না, তবে হাঙ্গামা কেন? ওরা কি  পাকিস্তানি মুসলিমদের নাগরিকত্ব  চাইছে? পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে স্পর্শকাতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। উত্তর দিল্লিতে একাধিক হিংসার খবর আসছে।