নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজেটে সবার কথা ভাবা হয়েছে। শনিবার জি মিডিয়ার এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে এমনটাই দাবি করলেন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর কথায়, ''এটা জনমোহিনী নয়, বরং জনপ্রিয় বাজেট।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন অরুণ জেটলি। এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই নেই বলে অভিযোগ। জি মিডিয়ায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''গত ৩ বছরে চাকরিজীবীদের একাধিক সুবিধা দিয়েছি। প্রতিটা বাজেটেই চাকরিজীবীদের কথা ভেবেছি আমি। এবারই ৮,০০০ কোটি টাকা ছাড় পাবেন বেতনভুকরা।'' তিনি আরও বলেন,'' ১২ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাবেন মধ্যবিত্তরা। তা দেশের অর্থনীতির স্বার্থও রক্ষা করবে।'' জেটলি আরও বলেন, ''সরকারের কোষাগারের উপর প্রথম অধিকার গরিব মানুষের। আমি বলতে চাই, সাধারণ মানুষ বাজেটে খুশি।''      


আরও পড়ুন- বাজেটে গরিবদরদী মোদী সরকার, একাধিক ঘোষণা জেটলির


মধ্যবিত্ত করদাতারা আপনার বাজেটে নিরাশ। একদিকে স্ট্যান্ডার্ড ছাড় পাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে মেডিক্যাল ও পরিবহণ বাবদ খরচ ফেরত পাবেন না। 


না, দুটোকে এক করে ফেললে হবে না। আমি প্রতিটি বাজেটেই বেতনভুকদের কথা ভেবেছি। ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ আয়ের চাকরিজীবীদের কর ৫ শতাংশ কমিয়েছিলাম। ৮০ সি-তে ছাড়ের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ করেছি। গৃহঋণে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিয়েছি আমি। আগে পরিবহণ ভাতা ছিল ৮০০ টাকা। তা বাড়িয়ে করেছি ১৬০০ টাকা। মেডিক্যাল ভাতার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই ভুয়ো বিল জমা দেয়। তাই তার জায়গায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এনেছি। মোট ৮ হাজার কোটি টাকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৪ বছরে বেতনভুক শ্রেণির জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছি। 


আপনার মনে হয় না, আয়কর কাঠামোর সীমা বাড়ানো উচিত। 


মন্ত্রী হওয়ার আগে এটা ভাবতাম আমি। তবে দেখলাম, একটা অংশের মানুষ রিটার্ন ফাইল করেন, তবে কর দেন না। আমি সত্ করদাতাদের স্বস্তি দিতে চাই। আমার মনে হয়, আস্তে আস্তে সীমা বাড়ানো উচিত। এখন ৫-৭ লক্ষ আয় করেও ন্যূনতম কর দিতে হয়। আমি আশ্বাস দিলাম, করের বোঝা কমাব।


আরও পড়ুন- বেতন বাড়ছে সাংসদদের, আয়করে ছাড় পেল না মধ্যবিত্ত


পেট্রোলের দর কি জিএসটির আওতায় আসবে? 


আমি এব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। আমি চাই, পেট্রোলের দাম জিএসটির আওতায় আসুক। তবে পেট্রোপণ্যে রাজ্যগুলির অনেকটা লাভ হয়। তাদের রাজি করানো মুশকিল।