নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের অর্থনীতিতে নগদ অর্থের জোগান সচল রাখতে  রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত অতিরিক্ত অর্থ চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য মেটাতে ম্যারাথন বৈঠকও হয়েছে। তাতে সরকারের দাবি নিয়ে পর্যালোচনায় গঠিত হয়েছে কমিটি। শনিবার একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে অরুণ জেটলি বলেন, আগামী ৬ মাস অর্থের দরকার নেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এই প্রশ্নে জেটলির জবাব,''প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনকে সম্মান করে সরকার। কোনও একটি ক্ষেত্রে ঋণ বা তরল অর্থের দরকার হলে বিষয়টি দেখব। আরবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই সেটা করা হবে''। 
  
কংগ্রেসের অভিযোগ, নোট বাতিল ও জিএসটির জেরে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ভুল শোধরাতে আরবিআইয়ের সঞ্চিত তহবিল ভাঙতে চাইছে মোদী সরকার। গত সপ্তাহে টুইটারে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম লিখেছিলেন, ''সঞ্চয় হাতানোর জন্য আরবিআইকে নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছে সরকার''।          


 আরবিআইয়ের কাছে বর্তমানে ৯.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার সঞ্চয় রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির মতো ওই সঞ্চয়ের পরিমাণ কমিয়ে তা আর্থিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাইছে মোদী সরকার। দিন কয়েক আগে আরবিআইয়ের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সরকারি প্রতিনিধিরা। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,আরবিআইয়ের অর্থের প্রয়োজন ও উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারকে দেওয়া নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হবে। তারাই আর্থিক মূলধনী নীতি স্থির করবে।      


সরকারের বক্তব্য, অব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলিকে নগদ অর্থের জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হোক। ছোট ব্যবসাগুলিকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিল নিয়ম থেকে রেহাই দেওয়া, আর্থিক দুর্বল ব্যাঙ্কগুলিকে স্বস্তি এবং আরবিআইয়ের উদ্বৃত্ত অর্থ কাজে লাগানো হোক। 


ছোট ও মধ্যম শিল্পগুলির ক্ষেত্রে ঋণের নিয়ম শিথিল হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তরল অর্থের জোগান বাড়াতে খোলা বাজার থেকে সরকারি সিকিউরিটিস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। এর ফলে ৮,০০০ কোটি টাকা আসবে বাজারে। 


আরও পড়ুন- #ShahonZee: বললে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেব, রাহুলের রাফাল অভিযোগে খোঁচা অমিতের