নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ অর্থনীতির দেশ ভারত। তবে আগামী বছরেই ব্রিটেনকে টপকে ভারত পঞ্চম স্থানে উঠে আসবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর কথায়,''২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রথম তিনে উঠে আসবে ভারত''।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশনের নতুন ভবন উদ্বোধন করে অরুণ জেটলি বলেন,''চলতি বছর আমরা ফ্রান্সকে পিছিয়ে দিয়েছি। আগামী বছর ব্রিটেনকেও ছাপিয়ে দেবে ভারত। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির পঞ্চম স্থানে চলে আসবে দেশ''।    


বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতির গতি ভারতের চেয়ে অনেকটাই স্লথ বলে দাবি জেটলির। তাঁর মতে,  ''দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি যদি ৭-৮ শতাংশ ধরে রাখতে পারি, তাহলে সামনে থাকা দেশগুলিকে ছাপিয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে। কারণ তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ১-১.৫ শতাংশ। ২০৩০ বা ২০৪০ সালের দিকে তাকালে নিশ্চিতভাবে প্রথম তিনে আসব আমরা''। সামনের ১০-২০ বছর ভারতের বৃদ্ধির হার বাড়ানোর  আরও পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও মনে করেন জেটলি।  


এদিন জেটলি মনে করিয়ে দেন, ''ভারত বিশাল জনসংখ্যার দেশ। দেশের অর্থনীতিও বিশাল। আরও বাড়ার সুযোগও রয়েছে। বাজারও বাড়ছে। ফলে আপনাদের (ম্পিটিশন কমিশন)সতর্ক থাকতে হবে''।  


মাসখানেক আগে জিডিপির নিরিখে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির মর্যাদা পেয়েছে ভারত। বিশ্ব আর্থিক তহবিল বা আইএমএফ জানিয়েছে, ভারতের অর্থনীতির আকার ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা। নোট বাতিল ও জিএসটির পর দেশের অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে জিএসটির সুফল ভবিষ্যতে মিলতে শুরু করবে বলে আশাবাদী অর্থনীতির বিশারদরা। সেই জায়গা থেকে অর্থনীতির আয়তনে ভারতের ষষ্ঠস্থান অর্জন যথেষ্ট তাতপর্যপূর্ণ। সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ কনসালটেন্সির দাবি, ২০৩২ সাল নাগাদ দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে যাবে ভারত। 


বিশ্বব্যাঙ্কের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট রিপোর্টেও ভারতের উন্নতির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তাদের মতে, ২০১৮ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৩ শতাংশ ও পরবর্তী ২ বছরে ৭.৫ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন- ১ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক?