আইএএস ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য এবার মোদীকে আবেদন কেজরিওয়ালের
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল করে আপ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে কেজরিওয়াল-উপরাজ্যপালের সংঘাতের অবসানে এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটারের মাধ্যমে তিনি আবেদন করলেন, আমলাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করান প্রধানমন্ত্রী।
নীতি আয়োগের বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই টুইটটি রিটুইট করে কেজরিওয়ালের লিখেছেন,''স্যার শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশ আপনার কাছে আবেদন করছে। আইএএস অফিসারদের ধর্মঘটের অবসান করান। দয়া করে নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিন। সাধারণ মানুষ অপমানিত বোধ করছেন।'' এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লির আমলারা ধর্মঘটে নেমেছেন বলে বলে অভিযোগ কেজরিওয়ালের। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেই অভিযোগ খারিজ করেছে আইএএস অ্যাসোসিয়েশন। আইএএস মনীশা সেক্সেনা বলেন, ''আমরা ধর্মঘটে নেই। দিল্লির আইএএস অফিসারদের নিয়ে যা রটেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বৈঠকে যোগ দিচ্ছি, সব দফতরের কাজও চলছে। এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করছি। সব ফাইলও দেখছি।''পরিবহণ দফতরের কমিশনার বর্ষা জোশী বলেন,''একটি রাজনৈতিক দলের লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমায় অযৌক্তিকভাবে গালমন্দ করছে। যেভাবে আমাদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তা অনুচিত। আমরা ভীত, প্রতিশোধের শিকার হচ্ছি। মুখ্যসচিবের নিগ্রহের পর সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছি। সব কাজই করছি। রাজনৈতিক কারণে আমাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।''
নিজের দাবিতে অনড় কেজরিওয়াল। এদিন খোলা চিঠিতে দিল্লির আমলাদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদন,''আধিকারিকরা আমাদের পরিবারের অংশ। ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের চাপ ও ভয়ের কাছে মাথানত না করে আপনাদের কাজ করা উচিত।''
এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল করে আপ। তবে পার্লামেন্ট স্ট্রিটেই আপ কর্মী-সমর্থকদের আটকে দিয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন- ধর্ম লুকিয়ে তরুণীকে বিয়ে, জোর করে ধর্মান্তরণের পর ধর্ষণ