নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণের কোনও সুযোগ ছাড়েন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির রামলীলা ময়দানকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেীর নামে নামকরণ করার প্রস্তাব নিয়ে বিবেচনা করছে  উত্তর দিল্লি নগর নিগম। এই খবর আসার পরই কেজরিওয়াল টুইট করলেন, রামলীলা ময়দানের নাম অটল বিহারীর নামে রাখলে ভোট পাওয়া যাবে না। বরং প্রধানমন্ত্রীর নাম বদলেও দেওয়া উচিত বিজেপির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে সম্মান জানাতে দিল্লির রামলীলা ময়দানের নাম বদলের প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তর দিল্লি নগর নিগমের বেশ কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলর। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন বিজেপির দিল্লি বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। তাঁর কথায়, ''মর্যাদা পুরষোত্তম শ্রী রামকে পুজো করেন হিন্দুরা। তাই নামবদলের প্রশ্নই নেই। কেউ প্রস্তাব দিতেই পারেন। তা মানতে বাধ্য নই''।



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ''রামলীলা ময়দান ইত্যাদির নামবদল করে অটল জি- নামে করলেও ভোট পাবে না বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নাম বদলে দেওয়া উচিত। তাতে যদি কিছু ভোট পান। ওনার নামে আর কেউ ভোট দেবে না''।   



অতিসম্প্রতি বিরোধী দলগুলির জোটে না থাকার কথা ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি। রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতেও কংগ্রেসের পাশে ছিল না কেজরিওয়ালের দল। তারা তখন জানিয়েছিল, মোদীকে আলিঙ্গন করতে পারেন রাহুল গান্ধী, অথচ কেজরিওয়ালকে একটা ফোন করে সমর্থন চাইতে পারেন না। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির হাতে তামাক খাচ্ছেন কেজরিওয়াল। উল্লেখ্য, সদ্য আম আদমি পার্টি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়ালের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সৈনিক আশুতোষ ও আশিস খৈতান। 


দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারির খোঁচা, ''আপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাই দল ছাড়ছেন। তুঘলকি আচরণ করছেন কেজরিওয়াল। নিজের দলেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন তিনিয ২০২০ সালে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে আপকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না'।  


কেজরিওয়ালের এহেন টুইটের পিছনে কি রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছেন, জল্পনা ওয়াকিবহাল মহলে। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর জায়গায় অন্য কাউকে মুখ করা হলে কি তিনি বিজেপিকে সমর্থন দেবেন? সেই ইঙ্গিত কি টুইটারে দিলেন কেজরি? কারণ, বিরোধী জোটের পাশে নেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।     


আরও পড়ুন- ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের দাবি করে মোদীকে চিঠি কুমারস্বামীর