নিজস্ব প্রতিবেদন: সবই জল্পনা। তবুও পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ থামছে না। লোকসভা ভোটের মুখে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সরকার এই মুহূর্তে টালমাটাল অবস্থা। পরিস্থিতি দেখে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া তো বলেই ফেললেন, ছেলেকে একমাত্র ঈশ্বরই বাঁচাতে পারেন! তবে, ছেলে অর্থাত্ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী কিন্তু বিন্দাস! সংখ্যা নিয়ে ভাবছেন না। বলেন, “আমি জানি আমাদের ক্ষমতা।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে কর্নাটকের জোট সরকারের থেকে ২ নির্দল বিধায়ক সমর্থন তুলে নিয়েছেন। কুমারস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে নীতিপঙ্গুতার অভিযোগ এনে, বিধায়ক আর শঙ্কর বলেন, “আজ মকর সংক্রান্তি। এ দিনই সরকার পরিবর্তন দেখতে চাই।” কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘অপারেশন লোটাস’ (বিজেপির বিধায়ক ভাঙানোর সাংকেতিক নাম) চালিয়ে বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করছে ইয়েদুরাপ্পার লোকজন।


আরও পড়ুন- ‘হর্ হর্ গঙ্গা’, কুম্ভমেলায় নিজের পুণ্যস্নানের ছবি পোস্ট স্মৃতি ইরানির


কুমারস্বামীর মন্ত্রকের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার দাবি করেন, ৫ কংগ্রেস বিধায়ক নিখোঁজ রয়েছেন। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে তাঁদের আটকে বিজেপি কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শিবকুমারের। পাশাপাশি আরও কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং জেডিএসের ১৩ জন বিধায়কের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। পাল্টা ইয়েদুরাপ্পার দাবি, তাঁদের বিধায়কদের ভাঙাতে চাইছে কংগ্রেস। বিজেপির ১০৪ জন বিধায়ককে গুরুগ্রামের একটি হোটেলের রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন- সবরীমালায় আয়াপ্পা দর্শনে সাহস দেখানোয় হাসপাতালের বেডে ‘ঋতুমতী’ কনক দুর্গা


কর্নাটকের সরকার গড়তে দরকার ১১৩ বিধায়ক। সংখ্যার নিরিখে বিজেপি দূরে থাকলেও লোকসভার মুখে বিধায়ক ভাঙানোর জল্পনায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কুমারস্বামী সরকার। একদিকে আসন সমঝোতায় কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে জনতা দল (সেকুলার)-এর। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী জানিয়ে দেন, তাদের যেন তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে না করা হয়। এর আগে একাধিকবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কুমারস্বামী। এক বার তো তিনি বলেই ফেলেন, জেনেশুনে বিষ পান করেছি। কংগ্রেস-জেডি(এস)-র সুক্ষ্ম ফাটল প্রশস্ত করতেই তাই উঠে পড়ে লেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা।