ছত্তীসগঢ়ের রায়ে ফের রমন-রাজের সম্ভাবনা বাড়ল
মাওবাদীদের হুমকি উপেক্ষা করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মানুষ। তৈরি হয়েছিল ভোটদানের নতুন রেকর্ড। এত বেশি পরিমাণে ভোট পড়লে সাধারণত শাসকপক্ষের হারের মুখ দেখার সম্ভাবনা বাড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাওবাদীদের হুমকি উপেক্ষা করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মানুষ। তৈরি হয়েছিল ভোটদানের নতুন রেকর্ড। এত বেশি পরিমাণে ভোট পড়লে সাধারণত শাসকপক্ষের হারের মুখ দেখার সম্ভাবনা বাড়ে।
কিন্তু শুক্রবার ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর এক্সিট পোলের ইঙ্গিত সম্পূর্ণ অন্যদিকে নির্দেশ দিচ্ছে। ছত্তীসগঢ়ে এবারও বিজেপির সরকার গড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। একটি নয়, একাধিক জাতীয় মিডিয়া থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
ছত্তীসগঢ় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। টাইমস নাও-এর হিসেব অনুযায়ী, ৪৬টি আসনে জিতে সেখানে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ৩৫টি আসন। ছত্তীসগঢ়ে এবার মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ও অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়ের জোটের ৭টি আসন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। অনান্যরা পেতে পারে ২টি আসন।
আরও পড়ুন: #ZeeMahaExitPoll: ২০১৯ সালে ভারতের তখতে কে? আজ ইঙ্গিত দেবে 'মিনি ইন্ডিয়া'
ইন্ডিয়া টিভি আবার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা দেখায়নি। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ৪২-৫০, কংগ্রেস ৩২-৩৮, বিএসপি-জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ় ৬-৮ ও অন্যান্যরা ১-৩টি আসন পেতে পারে।
ইন্ডিয়া টিভির পথেই হেঁটেছে, নিউজ২৪-পেস মিডিয়া। তাদের সমীক্ষা বলছে ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪২টি আসন। কংগ্রেস ৪৫ থেকে ৫১টি আসনে জিততে পারে। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে ১ থেকে ৩টি আসন।
সিএনএন নিউজ১৮-এর সমীক্ষা অনুযায়ী ছত্তীসগঢ়ে ত্রিশঙ্কু অবস্থা হতে পারে। সেখানে বিজেপি পেতে পারে ৪০-৪২টি আসন। কংগ্রেস ৩২-৩৮টি আসন পেতে পারে। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে ৭ থেকে ১১টি আসন। ছত্তীসগঢ়ে সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ৪৬। সেক্ষেত্রে কোনও দলই সেই সংখ্যা পাবে না বলেই এই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের বুথ ফেরত সমীক্ষায় অস্পষ্ট জনাদেশ
অন্যদিকে ইন্ডিয়া টুডে ও অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষা আবার উলটো কথা বলছে। তাদের আবার দাবি, ছত্তীসগঢ়ে পতন হতে পারে রমন-রাজের। সেখানে এবার ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস। তাদের সমীক্ষা অনুাযায়ী, বিজেপি ২১-৩১, কংগ্রেস ৫৫-৬৫ ও অন্যান্যরা ৪-৮টি আসন পেতে পারে।
যদিও অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে এক্সিট পোলের ইঙ্গিতের সঙ্গে মেলেনি আসল ফল। ফলে শেষপর্যন্ত কী হবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।