নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় আসারামের যাবজ্জীবন
বাকী জীবনটা জেলের চারদেওয়ালের মধ্যেই কাটাতে হবে স্বঘোষিত গুরু আসারামকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাকী জীবনটা জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাটাতে হবে স্বঘোষিত গুরু আসারামকে।
নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় বুধবার আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল যোধপুরের বিশেষ আদালত। এদিন সকালেই তাকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আসারামের সঙ্গে তার দুই সহযোগী শরদ ও শিল্পীকেও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আরও দুজনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারাম, জেনে নিন এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
২০১৩ সালে যোধপুরে নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বাপুর বিপুল সমর্থকের কথা মাথায় রেখে রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।
আসারাম সমর্থকরা গোলামাল পাকাতে পারে এমন আশঙ্কা করেই যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই সাজা ঘোষণা করা হয়। এই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসা পরিজনদের প্রবেশ এদিন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
আরও পড়ুন-ই-মনোনয়নের আর্জি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে সিপিএম
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নির্যাতিতার বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আমরা এতদিনে ন্যায় বিচার পেলাম। প্রসঙ্গত, আসারামের বিরুদ্ধে সুরাটেও একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সুরাটের দুই বোন আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। এবার সেই মামলাও সামনে আসতে পারে। দেখুন- যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে যেসব স্বঘোষিত ‘গুরু’-র নাম
গত বছর ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-এর সাজা ঘোষণার পর তার সমর্থকরা পঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডীগড় তোলপাড় করে। মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের। বিপুল সম্পত্তিহানি ঘটে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার আসারামের ক্ষেত্রে বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।