নিজস্ব প্রতিবেদন:  অসম ও বিহারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। কিছুটা জল নামলেও কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে এখনও নব্বই শতাংশ এলাকা প্লাবিত। মৃত্যু হয়েছে ৫১টি বন্যপ্রাণীর। বিহারে  পানীয় জলের সঙ্কট চরমে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বন্যায় বিপর্যস্ত অসম। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার শোনিতপুর, মরিগাঁও, ওদালগুরি, নওগাঁ জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি দেহ। লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল রাজ্যের ২৯টি জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫৭ লক্ষ মানুষ। যার মধ্যে দেড় লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ৪০৭ টি ত্রাণ শিবিরে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি। 



ব্রহ্মপুত্র  ছাড়াও অসমের ১০টি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। গুয়াহাটি শহরে অধিকাংশ রাস্তাই জলমগ্ন। চলাচলের জন্য ভরসা নৌকো ও কলাগাছের ভেলা। জলবন্দি বহু ঘর-বাড়ি। ট্রান্সমিটার ডুবে থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুত্‍ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।


সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের। প্রকৃতির কোপে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এক শৃঙ্গ গণ্ডার ছাড়া পঞ্চাশটিরও বেশি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও চারিদিকে জল। সেই সুযোগে প্রাণী পাচারের চেষ্টাও চলছে। বিপন্ন বন্যপ্রাণ রক্ষায় সক্রিয় বনকর্মীরা। চলছে নজরদারি।


বিহারের ১৬টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষ। ১২টি জেলার ৯২টি ব্লকের ৮৩১টি পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলবন্দি। লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা ১৯০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২১। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ। কাজ করছে রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বৃষ্টি কমায় বিভিন্ন নদীর জলস্তর নামতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট চরমে। জল বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।


আরও পড়ুন- বন্যায় বিপন্ন! ভাইরাল এই ছবিতে ফুটে উঠল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের যন্ত্রণা