জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির দুটি ঘটনায় লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে তাদের দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ফ্রিজে। আফতাব পুনাওয়ালা তার লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার পর দেহ টুকরো করে ফ্রিজে জমিয়ে রাখে। পরে ধাপে ধাপে তা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে এসেছিল। এবার অসমেও ঘটল এমনই ঘটনা। তবে এবার উলটপুরান। এক গৃহবধূ তার স্বামী ও শাশুড়িকে প্রথম খুন করলেন। তারপর তাদের দেহ কেটে ৩ দিন ফ্রিজে ভরে রাখলেন। পরে ধীরে ধীরে সেই দেহাংশ ফেলে এলেন ভিন রাজ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'আমার মনে হয় ওর...' রাহুলকে নিয়ে নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন দ্রাবিড়


গুয়াহাটির ওই ঘটনার আশ্চর্যজনক দিক হল খুনের ঘটনার ৭ মাস পর তা প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, গুয়াহাটির ওই গৃহবধূ তার স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে তাদের দেহ টুকরো করে পলিথিন ব্যাগে ভরে রাখেন। তারপর সেইসব দেহাংশ ধাপে ধাপে মেঘালয়ের একাধিক জায়গায় খাদে ফেলে আসেন। তাকে ওই কাজে সাহায্য করেছিল তার প্রেমিক ও তার বন্ধুরা।


গুয়াহাটির পুলিস কমিশনার দিগন্ত বড়ুয়া সংবাদসংস্থাকে বলেন, কমপক্ষে ৭ মাস আগে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই গৃহবধূ ও তার ২ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা চলছে। 


অভিযুক্ত ওই গৃহবধূর নাম বন্দনা কলিতা। শাশুড়ি শঙ্করী দে ও স্বামী অমরেন্দ্র দে-কে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন বন্দনা। এমনটাই খবর পুলিস সূত্রে। বন্দনাকে ওই কাজে সাহায্য করেছিল তার বয় ফ্রেন্ড ধনজিত্ ডেকা। 


কীভাবে সামনে এল গোটা ঘটনা


স্বামী নিখোঁজ বলে গত আগস্টে গুয়াহাটির নুনমতি থানায় একটি এফআইআর করেন বন্দনা কলিতা। তদন্ত শুরু হলেও তা থিতিয়ে যায়। এর মধ্যেই বন্দনার স্বামী অমরেন্দ্র দে-র এক ভাই ওই একই থানায় অমরেন্দ্র নিখোঁজ বলে একটি ডাইরি করেন। এতেই সন্দেহ বেড়ে যায় পুলিসের। ফের শুরু হয় তদন্ত। এরপরই বন্দনা ডেকে জেরা করতেই ভেঙে পড়ে সে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)