নিজস্ব প্রতিনিধি— করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। তার উপর আমফানের তাণ্ডব। এরই মধ্যে ভয়াবহ বন্যা। অনেকেই বলছেন, ২০২০ আর কত ক্ষতি করবে! বছর শেষ হতে এখনও কিন্তু সাত মাস বাকি। তাই এখনই যে দুর্যোগের শেষ তা কিন্তু আর হলফ করে বলা যাচ্ছে না। সারা দেশে করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করার পর আসাম কিন্তু প্রথম দিকে নিরাপদ ছিল। অনেকদিন ধরেই সেখানে করোনায় আক্রান্ত কারও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্য রাজ্য থেকে শ্রমিকদের অসমে ফেরানো শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে ৫০০—র বেশি করোনা আক্রান্ত মানুষ রয়েছে বলে খবর। আর এসবের মধ্যে এবার ভয়ানক বন্যার কবলে পড়েছে আসামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসমের পাঁচ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার লখিমপুর, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, ডারাং ও গোয়ালপাড়ায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। জানা গিয়েছে হড়পা বানের জন্যই এই বিপর্যয়। মোট ১২৭টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। এরই মধ্যে জলের তলায় ৫৭৯ হেক্টর জমির ফসল। অসমের প্রশাসন এই বন্যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে। গতকালই অসমে একদিনের হিসেবে রেকর্ড করোনার আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৫৬ জন করোনা আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। চারজন মারা গিয়েছেন। তবে ৬২ জন আবার ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন।


আরও পড়ুন— গভীর রাতে দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১৫০০ বস্তি ঘর


বন্যায় সব থেকে খারাপ অবস্থা গোয়ালপাড়ার। সেখানেই প্রায় ২৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। ৮৯টি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে। আট হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ''আগামী সাতদিনে অন্য রাজ্য থেকে আরও কিছু শ্রমিকের অসমে পৌঁছনোর কথা। করোনার এই পরিস্থিতিতে বন্যা আবার নতুন করে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছে আমাদের। ১০ জুনের মধ্যে অন্য রাজ্য থেকে যাদের আসার তাদের নিয়ে আসতে হবে। তা হলে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করার সময় পাব। জুলাইয়ে আসামে বন্যার সম্ভাবনা থাকে। তখন আবার নতুন লড়াই শুরু হবে।''