নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে ৫ বাঙালি যুবকের হত্যার ঘটনায় বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ''গুজরাটে বিহারি খেদাও চলছে, অসমে চলছে বাঙালি খেদাও''। মমতা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গিরিশপার্কে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''অসমের তিনসুকিয়ায় যেভাবে অসহায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের লোক ওঁরা। খুন মানে খুনই। কেন জানি না এভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।  গুজরাটে বিহারি খেদাও চলছে। অসমে বিহারি, ইউপি ও বাঙালি খেদাও। সারা দেশজুড়ে অশুভ সংকেত। আনন্দের মধ্যেও দুঃখের আবহ। কোথাও নোটবন্দি, কোথাও এজেন্সি পরিস্থিতি। আমাদের খারাপ লাগছে কারণ দেশকে ভালবাসি''। অসমের তিনসুকিয়ার ঘটনার পরই এর সঙ্গে নাগরিকপঞ্জির যোগ থাকতে পারে বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ''লাশের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল পদ থেকেও সন্ত্রাসী হামলায় এনআরসি যোগ দেখছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি''।    



বৃহস্পতিবার রাতে অসমের তিনসুকিয়া জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ৫ বাঙালি যুবকের। ঘটনায় আলফা জঙ্গিরা জড়িত বলে জানতে পেরেছে অসম সরকার। .


ঘটনায় পুলিসের যোগ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সহদেব। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, যে জায়গায় ৫ জনেক গুলি করা হয় সেখান থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই রোপ পুলিস প্রহরা থাকে। বৃহস্পতিবার তা ছিল না। চাইরালি বলে সেই জায়গায় পুলিস এদিন ডিউটিই করেনি। এমনকি গুলি চালনার পর পুলিসকে বারবার ডাকা হলেও তারা আসেনি। তাদের ফোন সুইচ অফ ছিল। পুলিসও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়়িত। তা না হলে রোজই প্রহরা দেয়, কালই কেন এল না? প্রাণ হারিয়েছেন সহদেবের এক আত্মীয় ও বন্ধুরা। তাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তিনি গড়িয়ে পড়ে যান একটি গর্তে। এতেই তার প্রাণ বাঁচে। পরে সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে তিনি সবাইকে খবর দেন। তিনি গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন জি ২৪ ঘণ্টাকে। 


আরও পড়ুন- মাত্র ৫৯ মিনিটেই ঋণ ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের, দীপাবলির উপহার মোদীর