নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবল অশান্তি অসম-মিজোরাম (Assam-Mizoram border) সীমান্তে। দীর্ঘদিন এই সীমান্ত সমস্যা ছিল। অসম পুলিশের দাবি কাছাড়ের লালিপুর এলাকা অস্ত্রধারী একদল মিজো তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অসমের পাঁচ পুলিসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ৬০। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিলচর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আহতের অনেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এয়ারগানে এবং পাথর ছোড়ার জেরে তাঁরা আহত হয়েছেন। তবে কারও অবস্থা গুরুতর নয়, এমনটাই খবর। 


এদিকে, এই ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সংবিধান স্বীকৃত অসম-মিজোরাম সীমান্ত রক্ষার সময় অসমের পুলিশের ছ'জন বীর জওয়ান নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।’


দুই রাজ্যের সীমান্তে এমন ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে দেশে। ইট পাটকেল ছোঁড়ার পাশাপাশি লাঠিও চালায় দুই রাজ্যের পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। পাশাপাশি সেই সময় গুলি চলেও বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দিনকয়েক ধরেই অসম-মিজোরাম সীমান্তের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। 


আরও পড়ুন, নিশানায় Amit Shah, অসম-মিজোরাম সীমানা দ্বন্দ্বে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন Rahul-Abhishek


ঠিক কী ঘটেছে? 


স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। সেই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে এলাকায়। অসম এবং মিজোরাম পুলিশের মধ্যে আলোচনার সময় মিজোরামের একদল লোক পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা দেয় অসমের স্থানীয়রা। এরপরই খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অন্যদিকে টুইটে একে অপরের দিকে অভিযোগ ছুঁড়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা।


অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব সরমা এর আগে দাবি করেছিলেন যে সংঘর্ষের সময় ছ'জন পুলিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, রাজ্য সরকার পরে এই পরিসংখ্যানটি সংশোধন করে জানায় যে রাজ্য পুলিসের পাঁচজন কর্মী মারা গিয়েছেন এই ঘটনায়  ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।