নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের আন্দোলন কোনও কাজে এল না। এনআরসি ইস্যুতে দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলেও অসমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারল না তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অন্তত তাই বলছে। দলের অসম শাখার পক্ষে যদিও দাবি করা হয়েছে ৬টি আসন জিতেছে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসমের বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার ৯ জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। সেরাজ্যে দলের মাটি তৈরি করতে স্থানীয় নেতারা চেষ্টারও কসুর করেননি। কলকাতা থেকে সাধ্যমতো সাহায্যও মিলেছিল। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের জনসভায় লোক হয়েছিল ভালই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হল না। অসমবাসীর মন জিততে পারল না ঘাসফুল। শুক্রবার গণনা শেষ হলে দেখা যায় তৃণমূলের ১০৭ জন প্রার্থীর কেউই জিততে পারেননি। 


কোথা থেকে এসব ভুলভাল তথ্য জোগাড় করেছিলেন রাহুল, রাফাল নিয়ে জোর বিঁধলেন অমিত শাহ


উলটে সেরাজ্যে সরকার গঠনের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নিজেদের আধিপত্য জারি রেখেছে গেরুয়া বাহিনী। গেরুয়া শিবিরকে টক্কর দিয়েছে কংগ্রেস। বামেরাও সেরাজ্যে বেশ কিছু আসন পেয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের হাত খালি। 



NRC নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় প্রতিনিধিদল পাঠান তিনি। যদিও অসম প্রশাসনের বাধায় শিলচর বিমানবন্দরের চৌকাঠ পার করতে পারেননি প্রতিনিধিদলের কোনও সদস্য। এর পরও অসমে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠন তৈরি করেন তৃণমূলের সেরাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা গেল সব চেষ্টাই গিয়েছে জলে।