100% লভ! HIV+ প্রেমিকের রক্ত নিজের শরীরে ইনজেক্ট করল পনেরোর কিশোরী...
মেয়েটি তার বাড়ি ছেড়ে অনেকবার ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গেছে। যতবার সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ততবার তার বাবা-মা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এরপরেই এবার এই কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন ওই নাবালিকা। তাঁর এই পদক্ষেপে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সবাই। জানা গিয়েছে সিরিনজ ব্যবহার করে প্রেমিকের শরির থেকে রক্ত বের করে ওই নাবালিকা। এরপরে এই সিরিনজ দিয়ে রক্ত নিজের শরীরে ইনজেকট করে সে। এই ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ভালবাসা অন্ধ। সবই দেখে কিন্তু কিছু মনে করে না'। প্রেমে পড়ে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটাল অসমের এক নাবালিকা। সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল অসমের সুয়ালকুচি জেলার মানুষ। জানা গিয়েছে সুয়ালকুচিতে এক নাবালিকা তার প্রেমিকের প্রতি তার প্রেমের প্রমাণ দিল অদ্ভুত এক উপায়ে। ওই নাবালিকা তার প্রেমিকের শরির থেকে এইচআইভি-পজিটিভ রক্ত নিয়ে তা নিজের শরীরে ইনজেকট করে সে। প্রেমিকের প্রতি তার প্রেমের গভীরতা প্রদর্শনের জন্যই এই কাজ করেছে এমনটাই জানিয়েছে সে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রেমিক হাজো এলাকারর সাতদোলার বাসিন্দা। ফেসবুকের মাধ্যমে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরেই তাদের মধ্যে প্রেম হয় এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের বন্ধন গভীর হয়ে ওঠে। এক সময় এই জুটি একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
অনলাইনে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, মেয়েটি তার বাড়ি ছেড়ে অনেকবার ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গেছে। যতবার সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ততবার তার বাবা-মা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এরপরেই এবার এই কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন ওই নাবালিকা। তাঁর এই পদক্ষেপে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সবাই।
জানা গিয়েছে সিরিনজ ব্যবহার করে প্রেমিকের শরির থেকে রক্ত বের করে ওই নাবালিকা। এরপরে এই সিরিনজ দিয়ে রক্ত নিজের শরীরে ইনজেকট করে সে। এই ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, ডাক্তাররা বর্তমানে মেয়েটির উপর নজর রাখছেন। হাজো পুলিস প্রেমিককে আটক করেছে বলেও জানানো হয়েছে। ২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬.৭ মিলিয়ন (৩৪ মিলিয়ন–৩৯.৮ মিলিয়ন) ব্যক্তি এইচআইভি-পজিটিভ। নভেম্বর ২০১৬ সাল থেকে ইউএনএইডস ফ্যাক্ট শীট অনুসারে, ২০১৫ সালে, ২.১ মিলিয়ন ব্যক্তি (১.৮ মিলিয়ন থেকে ২.৪ মিলিয়নের মধ্যে) এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়। প্রথমবার, প্রায় ১.১ মিলিয়ন (৯৪০,০০০-১.৩ মিলিয়ন) এইডস-সংক্রান্ত অসুস্থতায় মারা গিয়েছে।
এইচআইভি-র উচ্চ এবং নিম্ন উভয় প্রাদুর্ভাব যুক্ত রাজ্য দেখা যায় ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। মণিপুরে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিলেন। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১.১৫ শতাংশ মানুষ।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এইচআইভি-র প্রাদুর্ভাব এবং বার্ষিক নতুন এইচআইভি সংক্রমণ এখনও উচ্চ সংক্রমণযুক্ত রাজ্যগুলিতে হ্রাস পাচ্ছে। যদিও ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কম প্রবণতার রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও দেখা গিয়েছে।